পশ্চিম তীরে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করলো ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক,বিবিসিনিউজ২৪ ডেস্ক: অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরও দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। গাজা উপত্যকায় বারবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ জন নিহত হওয়ার একদিন পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আল-জাজিরার খবর।
বুধবার (১০ মে) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেনি।
স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স প্যারামেডিকস এবং ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মঙ্গলবার দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজা উপত্যকায় একটি গাড়ির ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান।
এর আগে, দিনের শুরুতে ড্রোনসহ ৪০টি এয়ারক্রাফট নিয়ে দফায় দফায় গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের দুই নেতা, তাদের স্ত্রী-সন্তানসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হন।
পশ্চিম তীরে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ক্লিপগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে জেনিনের দক্ষিণে কাবাতিয়া শহরে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা শহরে বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি সৈন্যের উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। দখলদার বাহিনী রাস্তায় গাড়ি থামাচ্ছে, বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১২৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময় পৃথক হামলায় ১৯ ইসরায়েলিও নিহত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কট্টর-ডানপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে এবং দেশের বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ২২শে এপ্রিল বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি প্রতিবাদ করেছিল।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন যে যদি সংস্কারটি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে নেসেট বা সংসদ সহজেই সুপ্রিম কোর্টের রায় বাতিল করার ক্ষমতা পাবে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যদের বিচারক নিয়োগে হস্তক্ষেপ এবং যেকোনো আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে।
চাপের মুখে গত মাসে বিচারব্যবস্থার সংস্কার থেকে সাময়িক পিছু হটার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। পার্লামেন্ট নেসেটে দেয়া ভাষণে পিছু হটার ঘোষণা দিলেও, এখনো সংস্কার প্রস্তাব বাতিলের ঘোষণা দেননি তিনি। আর তাতেই সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।