যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

গুনাহর কারণে জ্ঞান অর্জন থেকে মাহরুম থাকতে হয় । রুজিতে বরকত হয় না, এবাদতে মন বসে না, নেক লোকের সংসর্গ ভালবাসে না। অনেক সময় কাজে নানা প্রকার বাধাবিঘ্ন এসে দাঁড়ায়, অন্তর পরিস্কার থাকে না ময়লা পড়ে যায়, মনের সাহস কমে যায়, এমন কি, অনেক সময় মনের দুর্বলতা কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। (মনে স্ফুর্তি থাকে না)।

নেককাজ ও এবাদত বন্দেগী হইতে মাহরূম থাকে। আয়ু কমে যায়। তওবা করার তওফীক হয় না। গুনাহ করতে করতে শেষে গুনাহর কাজের প্রতি ঘৃণার ভাব থাকে না, (বরং ভাল বলে বোধ হতে থাকে। এরূপ হওয়া বড়ই দুর্ভাগ্যের কথা); আল্লাহ্ তায়ালার নিকট অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে হয়। একজনের গুনাহর দরুন অন্যান্য লোক, এমন কি, অন্যান্য জীব-জন্তুরও দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হয়। পরে তাহাদের বদদোআ ও লানতে (অভিশাপে) পড়তে হয়। জ্ঞান বুদ্ধি ক্রমশঃ লোপ পাইতে থাকে। আজকের পোস্ট থেকে আমরা জানবো কোন দোয়া পাঠ করলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

রসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ হতে তার প্রতি লানত হতে থাকে। ফিরিশতাগণের দোআ হতে বঞ্চিত হয় । দেশে শস্য-ফসলাদির উৎপন্ন কম হয়। লজ্জা-শরম কমে যায়। আল্লাহ্ তায়ালা যে কত বড় এবং ক্ষমতাশালী সে খেয়াল তার অন্তরে থাকে না। আল্লাহ্ তায়ালার নেয়ামত ক্রমশঃ হ্রাস পাইতে থাকে। নানারূপ বিপদ-আপদ বালামুছীবতে জড়িয়ে পড়ে। শয়তান তার উপর প্রভাব বিস্তার করে। তার অন্তর সবসময় পেরেশান থাকে। মৃত্যুকালে মুখ দিয়া কালেমা বাহির হয় না। খোদার রহমত হতে নিরাশ হয়ে যায়। পরিশেষে বিনা তওবায় মারা যায়।

ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

নেক কাজে পার্থিব লাভ

সর্বদা নেক কাজে মশগুল থাকলে রিযিক বৃদ্ধি হয়, সকল কাজে বরকত হয়। মনের অশান্তি ও কষ্ট দূর হয়, মনের আশা সহজে পুরা হয়, জীবনে শান্তি লাভ হয়, রীতিমত বৃষ্টিপাত হয়, সকল প্রকার বালা-মুছীবত, বিপদ-আপদ দূর হয়, আল্লাহ্ তায়ালা মেহেরবান এবং সহায় হন।

তার হৃদয় মজবুত রাখার জন্য আল্লাহ্ তায়ালা ফেরেশতাকে আদেশ করেন। মান মর্যাদা বৃদ্ধি হয়, সকলে তাকে ভালবাসে। কোরআন শরীফই তার রোগ আরোগ্যের উছীলা হয়, টাকা-পয়সার দিক দিয়া কোনরূপ ক্ষতি হলে তার অপেক্ষা আরও ভাল জিনিস পাওয়া যায়। দিন দিন আল্লাহ্ তায়ালার নেয়ামত তাহার জ্ন্য বৃদ্ধি পায়, ধন-দৌলত বৃদ্ধি পায়, মনের শান্তি বজায় থাকে, তার উছীলায় গায়েবী ভাবে নেয়ামত পায়।

মৃত্যুর সময় ফেরেশতা তাকে সুসংবাদ শোনায় এবং ধন্যবাদ দেয়। আয়ু বৃদ্ধি হয়, দরিদ্রতা এবং অনাহারজনিত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়, অল্প জিনিসে বেশী বরকত হয়, আল্লাহ্ তায়ালার ক্রোধ দূর হয়। হে খোদা! নিজ রহমতে আমাদের যাবতীয় গোনাহর কাজ হতে বাচিঁয়ে রাখুন এবং আপনার সন্তুষ্টির পথে সকলকে চলার তওফীক দান করুন।

গুনাহ মাফসহ সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহই কবুল করেন। শুক্রবারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কিছু বিশেষ সওয়াব সংরক্ষণ করেছেন। এই দিনে কিছু বিশেষ অভ্যাস আছে। যেখানে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভের সুযোগ রয়েছে।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরীফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।

৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسَلِّم تَسْلِيْمَا

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা’।

জুমার দিনের আরো কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে, সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা। হাদিসে এসেছে, জুমার দিনে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। আর বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা।

নাস্তিকতা, সহজ কথায় ধর্ম না মানা । ধর্ম না মানাও একটা ধর্ম

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন । দোয়া কবুল হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলে অন্যের জন্য বা মুমিন ভাই ও বোনদের জন্য দোয়া করা । আল্লাহ আমাদের একে অন্যের জন্য দোয়া করার তৌফিক দান করুন আমিন ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top