ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

Disclaimer

As an affiliate, we may earn a commission from qualifying purchases. We get commissions for purchases made through links on this website from Amazon and other third parties.

অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা?

প্রিয় পাঠক মহল , আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আমাদের নতুন এই সেবা । আজ থেকে আমরা আপনাদের জন্য ইসলামী প্রশ্নোত্তর নামের একটি ধারাবাহিক পোস্ট জারি রাখব । এই ধারাবাহিক পোস্ট থেকে আপনি জানবেন আপনার ইসলামী জীবন কেমন হওয়া উচিত । ইসলামী বিভিন্ন মাসায়ালা এবং মাসায়েল সম্পর্কে জানবেন এবং আমরা আপনাকে কোরআন এবং সুন্নাহ ভিত্তিক এছাড়া ফকিহদের গবেষণাকৃত ইসলামী প্রশ্নোত্তর পাচ্ছেন এই ধারাবাহিক পোস্টে । আমাদের বিবিসি নিউজ ২৪ টিম আপনাদের সেবাই নিয়োজিত ।

অমুসলিম মেয়েকে বা ছেলেকে বিবাহ করা যাবে কি না? – ইসলামী প্রশ্নোত্তর

image

প্রশ্ন: মুসলিম ছেলে বিদেশ থেকে অমুসলিম মেয়ে বিয়ে করে দেশে আসলে তার ভাই/বোন ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন উক্ত বিবাহকে স্বীকৃতি দানপূর্বক অনুষ্ঠানাদি করে আনন্দ উল্লাস করে থাকে। তা কি ইসলামে গ্রহণযোগ্য? এ অবস্থায় ছেলে, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।

যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

কাসফিয়া নামের অর্থ কি?

উত্তর: অমুসলিম ও বর্তমান ইয়াহুদি-খ্রিস্টান মহিলার সাথে কোন মুসলিম পুরুষের বিবাহ্ ও নেকাহ্ বৈধ নয়। যেহেতু পশ্চিমা দেশের বর্তমান ইয়াহুদি-খ্রিস্টান আমাদের প্রিয় রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি ও মান-হানিকর উক্তি করে যার দরুণ তাদেরকে আহলে কিতাব বা কিতাবীদের অন্তর্ভুক্ত বলা যাবে না। বরং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠধর্ম ইসলাম সম্পর্কে তাদের কটূক্তি ও বেয়াদবীর কারণে তারা ঈমান হতে খারিজ হয়ে গেছে। তাদেরকে ঈমান-ইসলাম শিক্ষা দিয়ে মুসলিম বানিয়ে তখন মুসলিম পুরুষ তাদেরকে বিবাহ্ করতে পারবে। এর সওয়াব ও ফযিলত অনেক বেশি।

কোন মুসলিম ছেলে সঠিক মাসয়ালা না জেনে বা ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় বিদেশ থেকে অমুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে দেশে আসলে তার ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনের পরম দায়িত্ব হল ঐ বিদেশী অমুসলিম মেয়েকে ভালভাবে বুঝিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করবে অতঃপর পুনরায় তাদের মধ্যে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক নুতনভাবে আকদের মাধ্যমে বিবাহের সম্পর্ক স্থাপন করবে। নতুবা সবাই গুনাহ্গার হবে। ফাসিক ও কবিরা গুনাহগার হয়ে যাবে। তাওবা অপরিহার্য হবে। আর যদি জেনে-শুনে ইসলামের বিধানকে অবজ্ঞা ও হেয় করে উক্ত বিবাহ্কে স্বীকৃতি দিয়ে ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন আনন্দ উল্লাস করে তবে ঈমান ধ্বংস হয়ে যাবে। নতুনভাবে পুনরায় ঈমান গ্রহণ করতে হবে।

[ফতোয়ায়ে রজভীয়া শরীফ: কৃত ইমাম আহমদ রযা ফাযেলে বেরলভী (রাহ.) ইত্যাদি]


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.