প্রশ্নউত্তর : ইসলামের দৃষ্টিতে মাসিকের সময় যৌন মিলন ?
ঋতুস্রাব বা মাসিক বা হায়েজ মহিলাদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে ঋতুস্রাব শুরু হলে একজন মহিলার শারীরিক স্বাস্থ্য এবং সন্তান ধারণের ক্ষমতা নিশ্চিত হয়। তা ছাড়া ইসলামে মাসিক চক্র সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধান রয়েছে।
পবিত্র কুরআ’ন এ আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আর আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয সম্পর্কে। বলে দেন, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো এবং যতক্ষন না তারা পবিত্র হয়ে যায় ততক্ষণ তাদের নিকটবর্তী হবে না। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন গমন কর তাদের কাছে, যে ভাবে আল্লাহ হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং যারা অপবিত্রতা হতে বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।” (বাকারা/আয়াত-২২২)
সুতরাং স্বামীর জন্য জায়েয হবে না স্ত্রী সহবাস করা যতক্ষন না স্ত্রী হায়েয থেকে মুক্ত হয়ে গোসল করে পবিত্র হয়। হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস যে একটি গর্হিত ও হারাম কাজ রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাদিস থেকেও তার প্রমান পাওয়া যায়।
আমাদের প্রানপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন- “যে ব্যাক্তি হায়েয অবস্থায় সহবাস করে বা পিছনের রাস্তা দিয়ে স্ত্রীর সাথে মিলন করে কিংবা কোন গণকের কাছে গমন করে, তবে সে আমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল।” [তিরমিযী]
বর্তমান চিকিতসা বিজ্ঞান বলছে যে, মাসিক অবস্থায় মেয়েদের জরায়ু থেকে যে স্রাব আসে, তাতে রয়েছে বিষাক্ত কিছু যৌগ। তাই পুরুষদের সিফিলিস, গোনোরিয়া, লিংগ ছোট হয়ে যাওয়া, লিংগ বিকৃতিসহ নানা রোগের কারন মাসিক অবস্থায় সহবাস করা। ডিম্বানু ভেঙ্গে তা মাসিকের স্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়।
মাসিকের সময় কোন ডিম্বানু থাকে না। যারা মনে করে মাসিকের সময় সহবাস না করলে সন্তান হয় না, এটা তাদের চরম মুর্খতা। তবে কখনো কখনো মাসিকের সময় ডিম্বানু গঠিত হয়, যদিও এটা বিরল। মাসিকের সময় একটি মেয়ে খুবই অসুস্থ থাকে, এর সাথে থাকে অসহ্যকর ব্যাথা-বেদনা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা। এই অবস্থায় তার সাথে সহবাস করা, তার উপর অমানবিক জুলুম ছাড়া আর কিছুই নয়।
-
হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়ার বিধান
-
যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়
-
ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?
মাসিক অবস্থায় কি করা যাবে এবং কি করা যাবে না :
১) মাসিক অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম।
২) মাসিক অবস্থায় স্ত্রীর নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত দেখা বা স্পর্শ করা হারাম।
৩) মাসিক অবস্থায় নামায পড়া যাবে না এবং তার কাযা মাফ।
৪) মাসিক অবস্থায় রোযা রাখা যাবে না, কিন্তু তার কাযা আদায় করতে হবে।
৫) মাসিক অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করা যাবে না ও পাঠ করা যাবে না। তবে যে কোনো জিকির করা যাবে, তাসবিহ পাঠ করা যাবে এবং দোয়া-ইস্তেগফার করা যাবে।
৬) মাসিক অবস্থায় স্ত্রীর সাথে শোয়া, তাকে চুম্বন কিংবা আলিঙ্গন করা জায়েয।
৭) মাসিক শেষ, কিন্তু গোসল করে নাই, এমতাবস্থায় সহবাস করা যাবে না।
৮) মাসিক তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশি হলে ইস্তিহাযা। ইস্তিহাযা অবস্থায় নামায পড়তে হবে।
৯) মাসিক অবস্থায় কাবা ঘর তাওয়াফ করা ছাড়া হজ্বের অন্যান্য কাজ করা যায়।
এখানে খুবই সহজ কিছু মাসয়ালা দেয়া হলো। মাসিকের মাসয়ালার পরিসর অনেক বড়। মাসিকের মাসয়ালা সমূহ মনে রাখা অনেক কঠিন কাজ। শতকরা ৫ ভাগ মেয়েও সঠিক মাসয়ালা মানা দূরে থাক, জানেও না। তবে কেউ যদি ভুলে, অনিচ্ছাকৃত এবং না জেনে তাহলে তার কোন গুনাহ হবে না। আর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে করে থাকে তাহলে কাফফারা দিতে হবে।
কাফফারার পরিমাণ একদিনার বা অর্ধ দিনার। কোনো কনো ফিকাহ বিদের মতে স্বামী দুটির যে কোন একটি দিতে পারবে। আবার কেউ কেউ বলেন মাসিকের প্রথম দিকে করলে ১ দিনার, শেষের দিকে বা মাসিক শেষ কিন্তু গোসল করে নি এমতাবস্থায় করলে অর্ধ দিনার। [কিতাবুল কাবার/ পৃষ্ঠা-৫৫]
রক্তস্রাব চলাকালীন স্ত্রী সহবাস করা স্বামীর জন্য যেমন হারাম ঠিক তেমনি ঐ অবস্থায় স্বামীকে মিলনের সুযোগ দেয়াও স্ত্রীর জন্য হারাম। এ হুকুমটি সরাসরি পবিত্র কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত।
মহান আল্লাহ বলেন:
ﻭَﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻤَﺤِﻴﺾِ ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺃَﺫًﻯ ﻓَﺎﻋْﺘَﺰِﻟُﻮﺍْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﺤِﻴﺾِ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺮَﺑُﻮﻫُﻦَّ ﺣَﺘَّﻰَ ﻳَﻄْﻬُﺮْﻥَ ২২২) ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ
“তারা আপনাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলে দিন যে, এটা কষ্টদায়ক বস্তু, কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাক এবং ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের নিকট যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পবিত্র না হয়।” [সূরা আল-বাকারাহ: ২২২]
উক্ত আয়াতে “মাহীয” শব্দ দ্বারা হায়েযের সময় এবং লজ্জাস্থানকে বুঝানো হয়েছে। এভাবে হাদীস দ্বারাও বিষয়টি প্রমাণিত। প্রিয় নবী সা. বলেছেন: স্ত্রী সহবাস ছাড়া বাকী সব কিছু করতে পার।)) [মুসলিম]
সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা! আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে যে, রক্তস্রাব অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম হওয়ার ব্যাপারে সমস্ত মুসলমান একমত। এখানে কারো কোন রকম দ্বিমত নেই। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলা এবং পরকালের প্রতি ঈমান রাখে তার জন্য এমন একটি অসৎ কাজে লিপ্ত হওয়া কোনভাবেই বৈধ হবে না, যার উপর কুরআন, সুন্নাহ এবং মুসলমানদের সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর পরও যারা এ অবৈধ কাজে লিপ্ত হবে তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ কারীদের অন্তর্ভুক্ত এবং মু’মিনদের মতাদর্শের পরিপন্থী পথের অনুসারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
আল-মাজমূ’ শারহুল মুহায্যাব ২য় খন্ডের ৩৭ নং পৃষ্ঠায় ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, ঋতুস্রাব চলাকালে যে ব্যক্তি স্ত্রী সঙ্গমে লিপ্ত হবে তার কবীরা গুনাহ হবে। আমাদের ওলামায়ে কেরাম যেমন ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন: যে ব্যক্তি হায়েয অবস্থায় স্ত্রী মিলনকে হালাল মনে করবে সে কাফের হয়ে যাবে।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি পুরুষের জন্য ঋতুস্রাব চলাকালীন সঙ্গম ব্যতীত স্ত্রীর সাথে এমন সব কাজ করাকে জায়েয করে দিয়েছেন যার মাধ্যমে স্বামী আপন কামোত্তেজনা নির্বাপিত করতে পারে। যেমন চুমু দেয়া, আলিঙ্গন করা এবং লজ্জাস্থান ছাড়া অন্যান্য অঙ্গের মাধ্যমে যৈবিক চাহিদা পূর্ণ করা। তবে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ ব্যবহার না করাই উত্তম। কাপড় বা পর্দা জড়িয়ে আড়াল করে নিলে অসুবিধা নেই। কেননা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: নবী করীম সা. ঋতুস্রাব চলাকালীন আমাকে আদেশ
করলে আমি ইযার পরতাম। তখন তিনি আমাকে আলিঙ্গন করতেন।))
যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোণ মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব করা হলে সয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা অই মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)। প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল-
আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম,হাকিম তিরমিজি।
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নরমাল ডিফেন্স মেকানিজম নষ্ট হয়ে যায়। মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একই ঘটনা ঘটে সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০-৪৫ দিন। আর এসময়ের সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স প্রজনন অঙ্গ গুলোতে ভয়াবহ ইনফেকশন ঘটায় লোকাল অর্গানিজম। স্ত্রীর হায়ে্য ( পিরিয়ড ) চলাকালীন তার সাথে সহবাস করা স্বামীর জন্য হারাম। ( ফথুল কাদীর , ১/২০০ )
আল্লাহ তায়ালা বলেন , “আর তারা তোমার নিকট হায়ে্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে। তাহলে বলে দাও এটা অশুচি বা কষ্ট। কাজেই তোমরা হায়েয চলাকালীন সময় সহবাস থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাস করবেনা, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন তারা ভালোভাবে পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের নিকটে যাও যেভাবে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদের ভালবাসেন।” ( সুরা আল বাকারাহ ২২২ )
এ প্রসঙ্গে রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেন, “যদি কোন ব্যক্তি হায়েযাহ নারীর সাথে বা তার নিতম্বে সহবাস করে, জ্যোতিষীর নিকট যায় আর জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে তাহলে সে মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার প্রতি কুফরি করল।”
নিম্নে সে বিষয়ে কিছু মাসআলা তুলে ধরা হলো—
ঋতুস্রাবের সময়সীমা ও নামাজ-রোজার বিধান
ইসলামী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী একজন নারীর ঋতুস্রাবের সর্বনিম্ন সময় তিন দিন আর সর্বোচ্চ সময় ১০ দিন। তিন দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে মাসিক ঋতুস্রাবকালীন নামাজ-রোজা করার প্রয়োজন নেই। এই দিনগুলোতে নারীর যথাসাধ্য বিশ্রাম দরকার। এ জন্য এই দিনগুলোতে ইসলাম নারীকে নামাজ-রোজা থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে।
কোনো কারণে ঋতুস্রাবের সময় ১০ দিনের চেয়ে বেড়ে গেলে নিজের আগের অভ্যাস অনুপাতে যে মেয়াদ আছে, ওই দিন পর্যন্ত বন্ধ রেখে এর পর থেকে নামাজ-রোজা পালন করবে। আর যদি ১০ দিনের ভেতরই শেষ হয়ে যায়, তাহলে রক্ত আসার শেষ দিন পর্যন্ত ঋতুস্রাব গণ্য করে নামাজ-রোজা ইত্যাদি বন্ধ রাখবে। এ অবস্থায় নামাজের কাজা না থাকলেও পরবর্তী সময়ে রোজা কাজা করে নেবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৩০০-৩০১)
ঋতুস্রাব অবস্থায় স্ত্রী সহবাস
ঋতুস্রাব অবস্থায় জেনেশুনে স্ত্রী সহবাস করা নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘লোকেরা আপনাকে হায়েজ তথা ঋতুস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলে দিন, তা অপবিত্রতা। অতএব তোমরা হায়েজের সময় স্ত্রীদের থেকে পৃথক থাকো এবং তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২২২)
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতীর সঙ্গে মিলিত হয় কিংবা কোনো নারীর পশ্চাদ্দ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোনো গণকের কাছে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৩৫)
তা ছাড়া ডাক্তারদের মতেও এ সময় স্ত্রী সহবাস করা অনুচিত। কারণ এ সময় স্রাবের রক্তের সঙ্গে বিভিন্ন রোগের জীবাণু বের হয়ে থাকে, যা সহবাসের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এ সময় সহবাস নিষিদ্ধ। তবে কেউ যদি তা করে ফেলে তার জন্য কর্তব্য হলো আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তিগফারের পাশাপাশি সদকা করা। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করে তার সম্পর্কে নবী (সা.) বলেছেন, সে যেন এক দিনার অথবা আধা দিনার (যা বর্তমান মূল্য হিসেবে ৪.৩৭৪ গ্রাম সমপরিমাণ স্বর্ণ) সদকা করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬৪)
হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়ার বিধান
ঋতুস্রাব চলাকালীন নারীরা কোরআন তিলাওয়াত করবে না এবং অন্যকে শেখানোর উদ্দেশ্যও পড়বে না। তবে একান্ত প্রয়োজন হলে পূর্ণ আয়াত তিলাওয়াত না করে এক বা দুই শব্দ করে কাউকে বলে দিতে পারবে এবং গোসল ফরজ থাকা অবস্থায়ও তাফসির পড়তে পারবে। তবে অজু করে পড়া ও ধরা মুস্তাহাব। (বাদায়েউস সানায়ে ১/১৫০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৯)
ঋতুস্রাবকালে কেউ যদি সিজদার আয়াত শুনে তাহলে তার ওপর সিজদা ওয়াজিব হবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৪৩৪৭)
রমজানের রোজা, হজের কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কারণে নারীরা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে স্রাব বন্ধ রাখে। ওষুধ সেবনের মাধ্যমে স্রাব বন্ধ রাখা বৈধ হলেও তা ব্যবহারের আগে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। (মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক, হাদিস : ১২১৯, ১২২০ আল-মুহিতুল বুরহানি ১/৩৯৯)
ঋতুস্রাবকালীন নারীরা আজানের জবাব দিতে পারবে। (আদ্দুররুল মুখতার ১/২৯৩)
কেউ যদি হায়েজ অবস্থায় ইতিকাফ করে, তাহলে তার ইতিকাফ আদায় হবে না। এমনকি ইতিকাফের মাঝখানে হায়েজ চলে এলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/২১)