কৃতী নারী সম্মাননা অনুষ্ঠানে-চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী
বিবিসিনিউজ২৪ ডেস্ক: ভারতের আগরতলায় সপ্তপর্ণার উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কবিপ্রণাম, নতুন গ্রন্থের গ্রন্থালোচনা, কৃতী নারী সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত ২৩ মে সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবের ভুমিতলে অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডাঃ প্রণতি মোদক সাহার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক, চসিক কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সপ্তাপর্ণা সম্পাদক কবি ও সাহিত্যিক নিয়তি রায় বর্মন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক যুগ্ম পরিচালক মোঃ একরাম হোসেন, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক কবি আসিফ ইকবাল, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম। সংবর্ধিত কৃতী নারী অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্যগুরু শ্রীমতি হীরা দে, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী শ্রীমতি ক্রামফ্রু মগ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব শ্রী বিভু ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রী সঞ্জীব দে, বিশিষ্ট কবি শ্রী অনিল কুমার নাথ, কবি ও সম্পাদক সণজিৎ বণিক, লেখিকা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব সুস্মিতা ধর, শাহনাজ বেগম।
হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা
শ্রীমতী নন্দিতা ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এতে কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ও নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন ড. বজ্র গোপাল মজুমদার, শ্রীমতি ঝর্ণা সাহা, সঙ্গীত শিল্পী স্বর্ণিমা রায়, ড. বিথীকা চৌধুরী, ড. মুজাহিদ রহমান, শ্রীমতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য, শেখর সি দত্ত, শ্রীমতি নন্দিতা রায়, শ্রীমতি বিথীকা দাস, শ্রী স্বপন মজুমদার, শ্রী বিপ্লব উড়াং, শ্রীমতি মৌসুমী কর, শ্রীমতি শিবানী ভট্টাচার্য, শ্রীমতি অপরাজিতা মজুমদার, শ্রী সঙ্গীত শীল, শ্রী মৃণাল কান্তি পন্ডিত, শ্রী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ, শ্রীমতি শ্বাশতী দেব, শ্রীমতি সুচিত্রা দাস, শ্রীমতি মনিষা পাল গুপ্তা, ড. শ্যামোৎ পাল বিশ্বাস, শ্রীমতি সুমিতা বর্ধন, শ্রীমতি স্বপ্না ভট্টাচার্য, শ্রী বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, শ্রী মনোরঞ্জণ দেব বর্মা, শ্রী চয়ন সাহা, শ্রীমতী দীপ্সি, শ্রীমতি হেলেন দেব বর্মা, শ্রীমতি লিপিকা ভট্টাচার্য। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শ্রীমতি ঝর্ণা সাহা। সভার শুরুতে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের শিল্পীবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আমরা বাংলাদেশ-ভারত সবসময় বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সবসময় ভারতবর্ষ বাংলাদেশের পাশে ছিল। বর্তমানে ও দুদেশের মধ্যে আন্তরিক এবং চমৎকার বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের ভাষা বাংলা বিধায় উভয় অঞ্চলের সংস্কৃতিরও যথেষ্ট মিল রয়েছে। তিনি বলেন বাঙালী সংস্কৃতির মেল বন্ধনকে আরো সুদৃঢ করতে উভয় বাংলার কবি, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবীসহ সকলকে আরো বেশি ভুমিকা রাখতে।
তিনি বলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের বটবৃক্ষ হিসেবে আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। অনুরুপ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আজও আমাদেরকে মানবিক ও সাহসী হওয়ার জন্য চিরপ্রেরণা যোগায়। বক্তারা বলেন এপার- বাংলার মানুষরা কাটাতারে বন্ধী থাকলেও আমাদের অনুভুতি, সাহিত্য-সংস্কৃতির বন্ধন এক ও অভিন্ন। সভা শেষে প্রধান অতিথি কৃতী নারীদের হাতে সংবর্ধনা স্মারক, মানপত্র, উত্তরীয় ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।একইসাথে সপ্তপর্ণার পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীকে সংবর্ধনা স্মারক ও উত্তরীয় প্রদান করেন সপ্তাপর্ণা সম্পাদক নিয়তি রায় বর্মণ।