ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

0
378
ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?
অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা?

প্রিয় পাঠক মহল , আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আমাদের নতুন এই সেবা । আজ থেকে আমরা আপনাদের জন্য ইসলামী প্রশ্নোত্তর নামের একটি ধারাবাহিক পোস্ট জারি রাখব । এই ধারাবাহিক পোস্ট থেকে আপনি জানবেন আপনার ইসলামী জীবন কেমন হওয়া উচিত । ইসলামী বিভিন্ন মাসায়ালা এবং মাসায়েল সম্পর্কে জানবেন এবং আমরা আপনাকে কোরআন এবং সুন্নাহ ভিত্তিক এছাড়া ফকিহদের গবেষণাকৃত ইসলামী প্রশ্নোত্তর পাচ্ছেন এই ধারাবাহিক পোস্টে । আমাদের বিবিসি নিউজ ২৪ টিম আপনাদের সেবাই নিয়োজিত ।

অমুসলিম মেয়েকে বা ছেলেকে বিবাহ করা যাবে কি না? – ইসলামী প্রশ্নোত্তর

image

প্রশ্ন: মুসলিম ছেলে বিদেশ থেকে অমুসলিম মেয়ে বিয়ে করে দেশে আসলে তার ভাই/বোন ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন উক্ত বিবাহকে স্বীকৃতি দানপূর্বক অনুষ্ঠানাদি করে আনন্দ উল্লাস করে থাকে। তা কি ইসলামে গ্রহণযোগ্য? এ অবস্থায় ছেলে, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।

যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

কাসফিয়া নামের অর্থ কি?

উত্তর: অমুসলিম ও বর্তমান ইয়াহুদি-খ্রিস্টান মহিলার সাথে কোন মুসলিম পুরুষের বিবাহ্ ও নেকাহ্ বৈধ নয়। যেহেতু পশ্চিমা দেশের বর্তমান ইয়াহুদি-খ্রিস্টান আমাদের প্রিয় রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি ও মান-হানিকর উক্তি করে যার দরুণ তাদেরকে আহলে কিতাব বা কিতাবীদের অন্তর্ভুক্ত বলা যাবে না। বরং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠধর্ম ইসলাম সম্পর্কে তাদের কটূক্তি ও বেয়াদবীর কারণে তারা ঈমান হতে খারিজ হয়ে গেছে। তাদেরকে ঈমান-ইসলাম শিক্ষা দিয়ে মুসলিম বানিয়ে তখন মুসলিম পুরুষ তাদেরকে বিবাহ্ করতে পারবে। এর সওয়াব ও ফযিলত অনেক বেশি।

কোন মুসলিম ছেলে সঠিক মাসয়ালা না জেনে বা ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় বিদেশ থেকে অমুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে দেশে আসলে তার ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনের পরম দায়িত্ব হল ঐ বিদেশী অমুসলিম মেয়েকে ভালভাবে বুঝিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করবে অতঃপর পুনরায় তাদের মধ্যে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক নুতনভাবে আকদের মাধ্যমে বিবাহের সম্পর্ক স্থাপন করবে। নতুবা সবাই গুনাহ্গার হবে। ফাসিক ও কবিরা গুনাহগার হয়ে যাবে। তাওবা অপরিহার্য হবে। আর যদি জেনে-শুনে ইসলামের বিধানকে অবজ্ঞা ও হেয় করে উক্ত বিবাহ্কে স্বীকৃতি দিয়ে ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন আনন্দ উল্লাস করে তবে ঈমান ধ্বংস হয়ে যাবে। নতুনভাবে পুনরায় ঈমান গ্রহণ করতে হবে।

[ফতোয়ায়ে রজভীয়া শরীফ: কৃত ইমাম আহমদ রযা ফাযেলে বেরলভী (রাহ.) ইত্যাদি]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.