Friday, May 10, 2024
No menu items!
HomeBangla newsব্লগার টিপস: ৭টি সেরা টিপস ! নতুন ব্লগারদের জন্য (২০২৩)

ব্লগার টিপস: ৭টি সেরা টিপস ! নতুন ব্লগারদের জন্য (২০২৩)

৭টি সেরা টিপস ! নতুন ব্লগারদের জন্য (২০২৩)

আমাদের আজকের নিবন্ধটি নতুন ব্লগারদের জন্য যারা ব্লগিং শুরু করতে চলেছেন বা শুরু করেছেন এবং অনেকেই শুরু করতে পারছেন না। আমাদের আজকের নিবন্ধটি কিছু মূল্যবান ব্লগিং নির্দেশিকা দিয়ে পরিপূর্ণ যা আপনার মনের অনেক সন্দেহ দূর করবে। আজ আমি ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কিছু জিনিস আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

আমরা প্রায় সবাই ব্লগিং শব্দটির সাথে কমবেশি পরিচিত। এখন আমরা কথা বলছি কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন বা শুরু করলেও সফলতার সঠিক নিয়ম বা পদ্ধতি কি?

আপনাদের মধ্যে কেউ হয়তো মনে মনে ভাবছেন যে এটা তো সহজ, আমি একটি ডোমেইন কিনব, তারপর আমি কিছু কন্টেন্ট লিখব এবং সবার সাথে শেয়ার করব, তারপর আমি আমার ব্লগ সাইট থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করব।

কিন্তু আমার প্রিয় বন্ধুরা এটা কিন্তু এত সহজ কাজ নয়। কারণ প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ব্লগ সাইট তৈরি হচ্ছে এবং সবাই ব্লগিংয়ে সফল হতে চায় কিন্তু সবাই তাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছে। সবাই ভালো করতে পারে না। আমি অনেক ব্লগারের সাথে দেখা করেছি যারা খুব উত্সাহ নিয়ে ব্লগিং শুরু করেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি।

কারণ তারা সঠিক ব্লগিং গাইড জানত না। নতুন ব্লগারদের জন্য সবচেয়ে বড় হতাশার একটি বিষয় হল তাদের সাইটে ভিজিটর সংখ্যা কমে যাওয়া। আপনি যদি আপনার সাইটটি সঠিকভাবে এসইও না করেন তাহলে আপনার সাইটের ভিজিটর দিন দিন কমে যাবে। তাই আজকে আমরা এই সকল ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, প্রথমেই ব্লগ তৈরি করার নিয়ম কি কি তা নিয়ে আমরা আপনাদের ধারণা দিব ।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক-

নতুন ব্লগারদের জন্য কিছু ব্লগিং নির্দেশিকা

শুরুতেই অনেকেই চাই একটি বিনামূল্যের বা ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য , তবে আমি বলব আপনি অবশ্যই একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনার চেষ্টা করুন। কারণ ফ্রি সাইটের অনেক ধরনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে যা আপনার পছন্দ হবে না । এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, একবার আপনার সাইটটি ভাল পজিশনে গেলে, আপনি চাইলেও এটি সরাতে পারবেন না তখন একটা বড় জটিলতার সম্মুখীন হবেন । কারণ আপনার কোন ডাটা বা ডাটাবেস থাকবে না।

জনপ্রিয় বা ব্রান্ড কোম্পানি গুলো থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা দরকান যেমন Godaddy, Namecheap বাংলাদেশে Itnuthosting কারণ তাদের নির্ভরযোগ্য এবং ভাল গ্রাহক সমর্থন আছে।

একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম নির্বাচন করার সময়, একটি হালকা, দ্রুত, প্রতিক্রিয়াশীল এবং এসইও অপ্টিমাইজড থিম চয়ন করতে ভুলবেন না। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করলে, SEO এর জন্য Rank Math বা Yoast প্লাগইন এবং ছবির জন্য ইমেজ কম্প্রেসার প্লাগইন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। আপনার ওয়েবসাইট অবশ্যই ইন্ডেক্স এর জন্য Google সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে submit করতে হবে।

কপি কন্টেন্ট হলে আপনারই ক্ষতি এতে করে সাইট DMCA Claim বা কপিরাইট ক্লেইম খেতে পারে এবং আপনার সাইট গুগলের র‍্যাংক থেকে সরে যেতে পারে । আপডেটেড কন্টেন্ট আপনার সাইটের জন্য আশির্বাদ ।

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

প্রতিটি নিবন্ধ লেখার সময় কমপক্ষে ৬০০-৮০০ শব্দ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ব্লগ পোস্টগুলিতে ফটো, লোগো এবং বৈশিষ্ট্যযুক্ত বা Infographic ছবি ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত, Google থেকে সরাসরি ডাউনলোড করা ছবি ব্যবহার করা যাবে না কারণ এর ফলে আপনার সাইটে একটি কপিরাইট স্ট্রাইক আসতে পারে ৷ তাই কপিরাইট মুক্ত স্টক ফটো সাইট থেকে ফটো সংগ্রহ করা যেতে পারে এবং ব্লগ সাইটগুলিতে ব্যবহার করা যাবে । ফটো সংগ্রহের ক্ষেত্রে আপনারা ক্যানভা ব্যবহার করতে পারেন ।

কিওয়ার্ড রিসার্চ :

একটা কন্টেন্ট লেখার আগে অবশ্যই তার নিশ বা টার্গেটেড কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে হবে । শুধু কন্টেন্ট লিখলেই হবে না আপনাকে অবশ্যই আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ এর উপর জোর দিতে হবে এবং কিওয়ার্ডের একটি লিস্ট তৈরি করতে হবে । এবং কিওয়ার্ড যথাযথ স্থানে ব্যবহার করতে হবে । আপনি নিবন্ধটি প্রকাশ করার সাথে সাথে এটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করুন যা আপনার ট্র্যাফিক বাড়াবে এবং শক্তিশালী ব্যাকলিংক তৈরি করবে।

একটি সাইটের লেআউট যত সুন্দর থাকবে সাইটটি দেখতে বা সাইটের তথ্যগুলো পেতে ততই সহজ হবে এবং সাইটের অবশ্যই পেইজ লোডিং স্পিড যাতে ভাল থাকে এছাড়া নেভিগেইশন মেনু যথাযথভাবে সেট করা থাকে এতে আপনার সাইটের SEO র‍্যাংক বাড়বে এবং আপনার কিওয়ার্ড র‍্যাংকিংয়ে সহজ হবে । প্রতিদিন একটি নিবন্ধ পোস্ট করার চেষ্টা করুন. সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার পোস্ট করুন।

হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

ইসলামী প্রশ্ন উত্তর: কবরের আযাব কি কারণে হয়?

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

অবশ্যই, মনে রাখবেন যে কোনও কিছুতে জয় পেতে সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে। তাই হাল ছাড়বেন না এবং আপনিও সফল হবেন।

একজন ব্লগার হিসেবে আমার পরামর্শ হবে আপনার আপনাদের কাজকে মূল্যায়ন করুন এবং আপনাদের কন্টেন্টকে ফ্রেশ এবং ডাটাময় রাখুন ।

নতুন ব্লগারদের জন্য প্রাক-ব্লগিং কী-নোট

1. প্রাথমিক সিদ্ধান্ত এবং বিষয় নির্বাচন
2. নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার না করা
3. ওয়েবসাইটের জন্য একটি পারফেক্ট ওয়ার্ডপ্রেস থিম নির্বাচন
4. কীওয়ার্ড গবেষণা এবং অপ্টিমাইজেশান করা
5. প্রতিযোগীদের চেক আউট
6. কপি-পেস্ট না করে দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশ (৮০০-১০০০ শব্দের)
7. একটি SEO পরিকল্পনা তৈরি করুন

২. প্রাথমিক সিদ্ধান্ত এবং বিষয় নির্বাচন

নতুন ব্লগারদের জন্য প্রথম কাজ হল একটি বিষয় নির্বাচন করা। কারণ নতুন ব্লগারদের জন্য যেকোনো ব্লগ সাইট শুরু করার আগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি পরবর্তী 6 মাস থেকে 1 বছরের জন্য আপনার সাইটে সময় এবং অর্থ ব্যয় করবেন কিন্তু কোনো Income আশা করবেন না।

ব্লগিং সাইটের জন্য সঠিক বিষয় নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্লগারদের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে বিষয় নির্বাচনের উপর। তাই আগে বুঝুন বর্তমানে কোন বিষয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং সাইটের ভিজিটর সংখ্যা সেই টপিকের সমান। আজকাল জনপ্রিয় কিছু ব্লগিং বিষয় হল – প্রযুক্তিগত, চিকিৎসা টিপস, ভ্রমণ গাইড, বিজ্ঞান ইত্যাদি।

২০২৩ সালের এর জন্য সবচেয়ে লাভজনক ব্লগ Niches গুলো হল :

  • Personal finance
  • Health and wellness
  • Technology
  • Travel
  • Fashion and beauty
  • Home improvement and DIY
  • Business and entrepreneurship
  • Food and cooking
  • Parenting and family

২. নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার না করা

এখন যেহেতু আপনি আপনার ব্লগিং সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরবর্তী ধাপ হল আপনার সাইটের জন্য একটি ডোমেন এবং হোস্টিং বেছে নেওয়া। বিষয়টিকে অনেকেই গুরুত্বের সঙ্গে নেন না।

কিন্তু একজন নতুন ব্লগারের জন্য তাদের ভিজিটর ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার করেন তাহলে আপনার সাইট খুব ধীরে কাজ করবে এবং ডাউনটাইম বাড়তে পারে। যার কারণে আপনার ভিজিটর আপনার সাইট ভিজিট করার পর ফিরে আসতে পারে।

হোস্টিং যত্রতত্র না নিয়ে ভাল হোস্টিং প্রভাইডার থেকে হোস্টিং নেওয়া উচিত ।

নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার না করার কারণ:

খারাপ ওয়েবসাইট কর্মক্ষমতা
অধিক সময় অফলাইন মোড
অদক্ষ প্রযুক্তিবিদ
অবিরাম ডাউনটাইম
অনলাইন সাপোর্ট ভাল না
হোস্টিং প্রদানকারীদের ব্যাকআপ নেই
খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি
নিরাপত্তাজনিত সমস্যা ইত্যাদি

নিচে ২০২৩ সালের সেরা ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রভাইডারের লিস্ট দেওয়া হল :

• Bluehost
• SiteGround
• HostGator
• InMotion Hosting
• A2 Hosting
• DreamHost
• WP Engine
• Liquid Web
• GreenGeeks
• Hostinger
• Kinsta
• Nexcess
• Flywheel
• Namecheap
• GoDaddy

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Trending Post