Thursday, September 19, 2024
Home Blog Page 10

শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কালীপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ

0
শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কালীপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ
শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কালীপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ

শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কালীপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও হুমকির প্রতিবাদে কালীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অদ্য ২৪ মে, বিকাল ৪ ঘটিকায় কালিপুর ইউনিয়নে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নেতৃত্ব দেন কালিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি এ্যাডভেকোট আ ন ম শাহাদাত আলম। মিছিলটি কালিপুর ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করে রামদাস মুন্সির হাটে এসে শেষ করে।

চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহাদাত বলেন-শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি বাংলার জনগণ কখনো মেনে নিবে না। আপনারা আমার নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিবেন আর আমরা মুজিব সেনারা হাত গুটিয়ে বসে থাকব, এটা হতে পারে না। আপনারা কল্পনার জগতে বসবাস করছেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ন ম ফরহাদুল আলম।

হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ফরেস্ট কলেজ ছাত্রলীগের যগ্ম আহবায়ক এস এম আরিফুল হক, কালিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল ইমন, যুবলীগ নেতা মো: করিম, ছাত্রনেতা শাহাদাত হোসেন আরাফাত, ছাত্রনেতা মাসুদূর রহমান রানা, যুবলীগ নেতা শাহাব উদ্দীন, নুর হোসেন, ছাত্রনেতা মোঃ রমজান প্রমুখ।

কৃতী নারী সম্মাননা অনুষ্ঠানে-চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী

0
কৃতী নারী সম্মাননা অনুষ্ঠানে-চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী
কৃতী নারী সম্মাননা অনুষ্ঠানে-চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী

কৃতী নারী সম্মাননা অনুষ্ঠানে-চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী

বিবিসিনিউজ২৪ ডেস্ক: ভারতের আগরতলায় সপ্তপর্ণার উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কবিপ্রণাম, নতুন গ্রন্থের গ্রন্থালোচনা, কৃতী নারী সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত ২৩ মে সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবের ভুমিতলে অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডাঃ প্রণতি মোদক সাহার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক, চসিক কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সপ্তাপর্ণা সম্পাদক কবি ও সাহিত্যিক নিয়তি রায় বর্মন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক যুগ্ম পরিচালক মোঃ একরাম হোসেন, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক কবি আসিফ ইকবাল, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম। সংবর্ধিত কৃতী নারী অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্যগুরু শ্রীমতি হীরা দে, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী শ্রীমতি ক্রামফ্রু মগ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব শ্রী বিভু ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রী সঞ্জীব দে, বিশিষ্ট কবি শ্রী অনিল কুমার নাথ, কবি ও সম্পাদক সণজিৎ বণিক, লেখিকা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব সুস্মিতা ধর, শাহনাজ বেগম।

হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

শ্রীমতী নন্দিতা ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এতে কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ও নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন ড. বজ্র গোপাল মজুমদার, শ্রীমতি ঝর্ণা সাহা, সঙ্গীত শিল্পী স্বর্ণিমা রায়, ড. বিথীকা চৌধুরী, ড. মুজাহিদ রহমান, শ্রীমতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য, শেখর সি দত্ত, শ্রীমতি নন্দিতা রায়, শ্রীমতি বিথীকা দাস, শ্রী স্বপন মজুমদার, শ্রী বিপ্লব উড়াং, শ্রীমতি মৌসুমী কর, শ্রীমতি শিবানী ভট্টাচার্য, শ্রীমতি অপরাজিতা মজুমদার, শ্রী সঙ্গীত শীল, শ্রী মৃণাল কান্তি পন্ডিত, শ্রী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ, শ্রীমতি শ্বাশতী দেব, শ্রীমতি সুচিত্রা দাস, শ্রীমতি মনিষা পাল গুপ্তা, ড. শ্যামোৎ পাল বিশ্বাস, শ্রীমতি সুমিতা বর্ধন, শ্রীমতি স্বপ্না ভট্টাচার্য, শ্রী বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, শ্রী মনোরঞ্জণ দেব বর্মা, শ্রী চয়ন সাহা, শ্রীমতী দীপ্সি, শ্রীমতি হেলেন দেব বর্মা, শ্রীমতি লিপিকা ভট্টাচার্য। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শ্রীমতি ঝর্ণা সাহা। সভার শুরুতে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের শিল্পীবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আমরা বাংলাদেশ-ভারত সবসময় বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সবসময় ভারতবর্ষ বাংলাদেশের পাশে ছিল। বর্তমানে ও দুদেশের মধ্যে আন্তরিক এবং চমৎকার বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের ভাষা বাংলা বিধায় উভয় অঞ্চলের সংস্কৃতিরও যথেষ্ট মিল রয়েছে। তিনি বলেন বাঙালী সংস্কৃতির মেল বন্ধনকে আরো সুদৃঢ করতে উভয় বাংলার কবি, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবীসহ সকলকে আরো বেশি ভুমিকা রাখতে।

তিনি বলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের বটবৃক্ষ হিসেবে আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। অনুরুপ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আজও আমাদেরকে মানবিক ও সাহসী হওয়ার জন্য চিরপ্রেরণা যোগায়। বক্তারা বলেন এপার- বাংলার মানুষরা কাটাতারে বন্ধী থাকলেও আমাদের অনুভুতি, সাহিত্য-সংস্কৃতির বন্ধন এক ও অভিন্ন। সভা শেষে প্রধান অতিথি কৃতী নারীদের হাতে সংবর্ধনা স্মারক, মানপত্র, উত্তরীয় ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।একইসাথে সপ্তপর্ণার পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীকে সংবর্ধনা স্মারক ও উত্তরীয় প্রদান করেন সপ্তাপর্ণা সম্পাদক নিয়তি রায় বর্মণ।

ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত

2
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত

ইনসানিয়াত বিপ্লব,বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে
হালিশহর থানার শোকরানা সালাতু সালাম মাহফিল অনুষ্ঠিত

সত্য-সুবিচার-মানবতা-অধিকার ভিত্তিক সমাজ রাষ্ট্র ব্যবস্থা তথা ইনসানিয়াত বা মানবিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকারে, মিথ্যা-অবিচারের কবল থেকে সত্য এবং মানবতার মুক্তি সাধনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব,বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে হালিশহর থানা শাখা কার্যালয়ে শোকরানা সালাতু সালাম মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের অংশ গ্রহণে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আজিজ মাবরুর এর সভাপতিত্তে ও উনজিলা তাসনিম প্রভার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সালাতু সালাম মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন, মাওলানা দেলোয়ার আহসান, আশরাফুল আলম, মঈনউদ্দিন(মনি), মোস্তাক রায়হান, সাহফুল ইসলাম, তারেকুর রহমান, ফাতেমা ইফতেখার লিজা, শাহানা আক্তার পারুল, ফাহমিদা ইফতেখার(লুবনা), রোকশানা আক্তার চম্পা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

ইনসানিয়াত বিপ্লব,বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে বক্তাগন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রবর্তক সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াতের দিক নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন ”সব মানুষ ভাই ভাই-মানবতার দুনিয়া চাই”। দুনিয়াব্যাপী বিভিন্ন ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদ ও বস্তুবাদি জাতীয়তাবাদের একক গোষ্ঠীবাদি স্বৈরদস্যুতন্ত্রের গ্রাসে রুদ্ধ জীবন ও বিধ্বংস মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ সর্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং সম্পদের মুক্ত প্রবাহের ধারায় মানবিক সাম্যের ভিত্তিতে সর্বজনীন মানবাধিকার রুপরেখা মুক্ত জীবনের অখন্ড প্রাকৃতিক বিশ্বব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত।

বক্তারা বলেন জীবন মানবতাবিরোধী একক ধর্ম, জাতি গোষ্ঠী, শ্রেণী, বর্ণ, গোত্র, মতবাদভিত্তিক তথা গোষ্ঠীভিত্তিক অপরাজনীতিকে না বলুন এবং সবার কল্যাণের, সবার অধিকারের, সবার আত্মমালিকানা ও দুনিয়ার সম্মিলিত মালিকানার যে রাষ্ট্র বিশ্ব রাজনীতি তথা জীবনের রুপরেখা খেলাফতে ইনসানিয়াত তথা মানবতাভিত্তিক রাষ্ট্র বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে মানবতার রাজনীতি নিয়ে আসার জন্য সত্যের ইমাম ঈমানের ইমাম সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াতের সব মানুষের নিরাপদ প্লাটফরম মানবতার রাজনীতির দিকদর্শন খেলাফতে ইনসানিয়াত তথা ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ যোগদানের আহবান জানান।

কাউন্সিলর জসিমের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার

0
কাউন্সিলর জসিমের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার
কাউন্সিলর জসিমের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার

কাউন্সিলর জসিমের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার

নাসের, বিবিসিনিউজ২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে আনিত চাঁদাবাজী মামলা প্রত্যাহার করেছেন বাদী পক্ষ। অদ্য ২১ মে, চট্টগ্রাম চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে বাদী অপু প্রধান মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। এসময় বাদী বলেন-জহুরুল আলম জসিমের সাথে আমার সম্পূর্ণ ভুল বুঝাবুঝির কারণে মামলাটি সৃষ্টি হয়। আমি একজন হকার্স ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, আমি বিভিন্ন ধরণের ক্রোকারিজ সামগ্রী নিয়ে ভ্যান গাড়িতে ফেরি করি।

গত ৩/৪ দিন পূর্বে আকবর শাহ্ থানাধীন পূর্ব ফিরোজ শাহ্ এলাকায় এইচ ব্লক মোড়ে লটারীর মাধ্যমে ব্যবসা করছিলাম। আমার উক্ত লটারীর মাধ্যমে ব্যবসা করায় এলাকার জনসাধারণের মাধ্যমে মারামারি ও ঝগড়া ঝাটি সহ বিভিন্ন ধরণের উশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই এলাকার জনগণ আমাকে উক্ত লটারী ব্যবসা বন্ধ করার জন্য বললেও আমি তাদের কোন কথা কর্ণপাত না করায় এলাকার জনগণ স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

ইসলামী প্রশ্ন উত্তর: কবরের আযাব কি কারণে হয়?

ঘটনার তারিখ ও সময়ে কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে এসে আমার লটারী ব্যবসা বন্ধ করতে বললে, তখন এলাকার সাধারণ জনগণ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করার জন্য উদ্বুদ্ধ হলে কাউন্সিলর আমাকে জনগণের মারধর হতে রক্ষা করার জন্য আমাকে চড় থাপ্পর দিয়ে এবং ভবিষ্যতে এধরণের লটারী ব্যবসা না করার জন্য নির্দেশ দিয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি শান্তি করার জন্য আকবর শাহ্ থানায় ফোন করে পুলিশ এনে আমাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।

উল্লেখ্য গত ১৭ মে, ২০২৩ইং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় স্থানীয় কাউন্সিলর জুয়ার বোর্ড ভেঙ্গে দিয়ে এক লোককে মারধর করে। মুহুর্তে ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় আকবর শাহ্ থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা রুজু হয়। আজ ২১ মে, ২০২৩ইং চট্টগ্রাম চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে বাদী অপু প্রধান মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।

2

3

4

5

6

বাংলা ২য় পত্রের সারাংশ এবং সারমর্ম :

হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা

0
হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা
হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা

হিট অফিসারের পদটা ধারাবাহিক থাকুক: বুশরা

বিবিসিনিউজ২৪ ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে ও এশিয়ার ফার্স্ট হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেছেন, “আমি চাই হিট অফিসারের পদ আমার পরে ধারাবাহিক থাকুক। আমার পরে অন্য কেউ আসুক। অন্য কেউ এসে এটা পূরণ করুন এই পদটি” ।

সম্প্রতি প্রথম আলোর কিশোর আলোর এক অনুষ্ঠানে যোগ তিনি এসব কথা বলেন। বুশরা আফরিন বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য বিভিন্ন দেশে হিট অফিসার রয়েছে। সেই দেশগুলোতে তারা অনেক বেশি সম্মানিত। আমিও তাদের মতোই কাজ করতে চাই।

ফেসবুকে তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তিনি তাদের খুব একটা পাত্তা দিতে চায় না। বুশরা বলেন, এখন আমার বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে; এটা হতেই থাকবে। তাদের সমালোচনা চাপা দেওয়া আমার কাজ নয়। যেহেতু এটি একটি স্বাধীন দেশ তাই সবাই যা খুশি কথা বলতে পারে।

‘‘আমার প্রধান কাজ হচ্ছে আমার ওপর অর্পিত যে কাজটি রয়েছে সেটা ঠিকঠাকভাবে করা। এটা আমার চাকরি নয় যে সবাইকে কনভেন্স করা যে আমি যেটা করছি সেটা ঠিক এবং আমি ঠিক রাস্তায় চলছি। আমি জানি আমি এ অবস্থানে কীভাবে এসেছি এবং আমি জানি আমার উদ্দেশ্য কি…।’’

নিজের নামে ফেসবুকে পেজ/আইডি নেই জানিয়ে বুশরা বলেন, আমার ফেসবুকে এক্টিভিটি তেমন একটা নেই। আমার নামে ফেসবুকে যে পেজগুলো আছে সেগুলো সবগুলোই ভুয়া।

কাজের পরিকল্পনা তুলে ধরে বুশরা বলেন, আমরা এখন ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০০০টি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছি। এই গাছগুলো ছোট গাছ হবে না। এই গাছগুলো অনেক বড় হবে, যেখানে মানুষ গাছের নিচে বসে প্রকৃতির সুখ এবং শান্তি সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারে ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

0
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

 

বিবিসিনিউজ২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফল এক ক্লিকে দেখুন এখানে

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৯ দশমিক ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী আবেদন করেও পরীক্ষা দেননি। ‘বি’ ইউনিটে ৫২ হাজার ৯৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪২ হাজার ২৪৭ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এটি মোট শিক্ষার্থীর ৭৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। ১০ হাজার ৭৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেননি।

ইসলামী প্রশ্ন উত্তর: কবরের আযাব কি কারণে হয়?

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

প্রথমদিন গত বৃহস্পতিবার সকালের শিফটে ১৭ হাজার ৬৬৫ জনের মধ্যে ১৪ হাজার ৩৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিতির হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, তিন হাজার ২৭৯ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। বিকেলে ১৭ হাজার ৬৮৫ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৪ হাজার ৪০০ জন।

বিকেলের শিফটে উপস্থিতির হার ৮১ দশমিক ৪২ শতাংশ ও ৩ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার তৃতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৭ হাজার ৬৬৫ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৩ হাজার ৫৭১ জন শিক্ষার্থী। উপস্থিতির হার ছিল ৭৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

সুত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস

ইসলামী প্রশ্ন উত্তর: কবরের আযাব কি কারণে হয়?

0
ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর:  কবরের আযাব কি কারণে হয়?
ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর:  কবরের আযাব কি কারণে হয়?

প্রশ্নঃ কবরের আযাব কি কারণে হয়? কার কার আযাব হবে?

ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর:  কবরের আযাব কি কারণে হয়?

উত্তরঃ  কুফর, শির্ক,  মোনাফেকী এবং আল্লাহ্   ও  তাঁর রাসুলের  আদেশ অমান্য করা  এবং    আল্লাহ্-  রাসুলের নাফরমানীর   কারণে  কবর         আযাব       হয়।        যারা আল্লাহ্-রাসুলকে  চিনে,         মানে,         মহব্বৎ         করে,  আল্লাহ্-রাসুলের  আদেশ   মানে,    নিষেধ   থেকে   বিরত থাকে,   তাদেরকে  আল্লাহ্পাক   কবরে   কখনও  আযাব  দিবেন না। ইহাই কবর আযাবের সংক্ষিপ্ত কারণ।

কবরের আযাজ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণঃ (কিতাবুর রূহ্ থেকে)

১। কবর আযাবের  কারণঃ পবিত্রতা অর্জনে ত্রুটি এবং চোগলখোরীঃ

নবী    করীম     সাল্লাল্লাহু    আলাইহি     ওয়া    সাল্লাম    দু’টি কবরের      পাশ    দিয়ে    যাওয়ার   সময়   দেখলেন-   দুটি  কবরেই আযাব হচ্ছে। হুযুর (ﷺ) বললেন- এমন দুটি কারণে   কবর  আযাব হচ্ছে-  যা   থেকে  বেঁচে থাকা খুব একটা   কঠিন কাজ ছিলনা। একটি কবরে আযাব হচ্ছে প্রস্রাব  হতে  পরিপূর্ণ  পবিত্র  না  হওয়ার  কারণে।  অন্য  কবরে    আযাব  হচ্ছে  চোগলখুরী   করে  সমাজে   ঝগড়া ফাসাদের   আগুন   লাগানোর   কারণে।   অতঃপর   তিনি  একটি  তাজা  খেজুরের   ডাল  নিয়ে   দু’ভাগ  করে   দু’টি  কবরে  পুঁতে দিয়ে বললেন-  যতক্ষণ এই ডাল  দুটি   না শুকাবে,  ততক্ষণ  কবর  আযাব হাল্কা থাকবে”। (বুখারী ও   মিশকাত)।    বুঝাগেল-   অধিকাংশ    লোকের     কবর আযাব     হবে     পেশাবের      কারণে    এবং     চোগলখুরীর কারণে। নবীজী মাটির নীচেও পরিষ্কার দেখেন।

ব্যাখ্যাঃ       অপবিত্রতা    ও    চোগলখুরীর     কারণে    কবর আযাব হবে। আর তাজা খেজুর ডাল পুঁতে দেয়ায় বুঝা গেল-   কবরস্তানে   গাছ-   গাছড়া   থাকা   ভাল।   কেননা,  তাজাগাছ      আল্লাহর     তছ্বীহ     পড়ে।      কবরের       পার্শ্বে তিলাওয়াত এবং যিয়ারত  করলেও   কবর আযাব মাফ হয়- অথবা হাল্কা হয়। তাজা ফুলের মালাও দেয়া যেতে পারে। দেখুন- ফতোয়া শামী ও আলমগীরী।

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

কবর আযাবের অন্যান্য কারণঃ
========
(২)   মিথ্যা   কথা   বলা

(৩)   কোরআন   পাঠ   করে   সে  অনুযায়ী  আমল    না   করা।

(৪)   যিনা  করা।

(৫)  সুদ খাওয়া।

(৬) নামায আদায়ে গাফ্লতি করা।

(৭) যাকাত আদায়    না   করা।

(৮)   ওয়াজ   করে   বাতিল    আক্বিদা প্রচার করে  ফেতনার  সৃষ্টি করা।

(৯)   ইয়াতিমের হক  নষ্ট  করা।

(১০) গীবত করে বেড়ানো।

(১১) সম্মানিত লোকের  সম্মানহানি করা।

(১২) জনগণের  সম্পদ  চুরি করা।

(১৩)   অন্তরে    গুনাহের   দৃঢ়    পরিকল্পনা   করা।

(১৪)  চোখ  দ্বারা     হারাম   দৃষ্টি  করা।

(১৫)   কান  দ্বারা হারাম কথা শুনা।

(১৬)  মুখ দ্বারা হারাম কথা  উচ্চারণ করা  ও   গালিগালাজ    করা  এবং  লোকের  মনে  অযথা কষ্ট  দেয়া।

(১৭)  পেট  হারাম  খাদ্য  দ্বারা  ভর্তি  করা।

(১৮)       যিনায়       লিপ্ত      থাকা।

(১৯)        হাতের      দ্বারা লোকদেরকে  কষ্ট  দেয়া।

(২০)   বিদআতে  ছাইয়েয়ার  (বাতিল       মতবাদ)       দিকে       আহবান       করা।

(২১)  আল্লাহ্-রাসুল সম্পর্কে গোমরাহীপূর্ণ  উক্তি করা।

(২২) ঘুষ খাওয়া, ঘুষ দেওয়া ও সাহায্য করা।

(২৩) অন্যের সম্পদ  হরণ   করা।

(২৪)  মদ   ও    নেশা  জাতীয়   দ্রব্য সেবন   করা।

(২৫)   সমকামিতায়  লিপ্ত  হওয়া।

(২৬) চুরি   করা।

(২৭)   খেয়ানত করা (মাল  অথবা কথায়)।

(২৮)   শাসকের    বিরুদ্ধে   অন্যায়ভাবে   বিদ্রোহ   করা।

(২৯)  অন্যের  বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্র  করা।

(৩০)   টাল্বাহানা  করে হারামকে হালাল বানানো।

(৩১) মুসলমানকে কষ্ট দেয়া  এবং  অকারণে  তাদের  দোষত্রুটি  খুঁচিয়ে  খুঁচিয়ে বের করা।

(৩২) আল্লাহ্-রাসুলের আইনবিরোধী হুকুম  দেয়া  বা   বিচার  করা  বা  শাসনকার্য  পরিচালনা   করা।

(৩৩)    শরিয়ত    বিরোধী    ফতোয়াবাজী    করা।

(৩৪)  গুনাহের  কাজে   সাহায্য   করা।

(৩৫) আত্মহত্যা  করা।

(৩৬)   গর্ভের   জীবিত   সন্তান  নষ্ট  করা।

(৩৭)  জীবিত সন্তান    হত্যা করা।

(৩৮)  বিলাপ   করে হাত মুখ  যখম করা।

(৩৯) বিলাপ শ্রবন করা।

(৪০) হারাম গানবাদ্য করা    ও  শ্রবণ করা।

(৪১)  কবরের উপর মাটির সাথে  মিলিয়ে   মসজিদ   স্থাপন   করা।

(৪২)   মালের   ওজনে  কারচুপি  করা।

(৪৩)  অত্যাচার  করা।

(৪৪)  অহঙ্কার  করা।

(৪৫)   লোকদেখানো   সৎ   আমল   করা।

(৪৬)  পূর্ববর্তী   বুযর্গদের   উপর   অহেতুক   অপবাদ   দেওয়া।

(৪৭)      গনকের     কাছে      ভাগ্য     গননা      করা।

(৪৮)  যাদুকরের   নিকট  থেকে  তদ্বীর   নেওয়া।

(৪৯)   গনক, যাদুকর   ও  জ্যোতিষীর   কথা    সত্য   বলে   গ্রহন  করা।

(৫০) যুলুম ও অত্যাচারে সাহায্য করা।

(৫১) আল্লাহর ভয়ে  ভীত  না  হয়ে  মানুষের  ভয়ে  ভীত  হওয়া।

(৫২)  অন্যকে   হেদায়াত   করে   নিজে    হেদায়াত   না    হওয়া।

(৫৩)  কথায় কথায়  আল্লাহর নামে   মিথ্যা শপথ  করা।

(৫৪)      গুনাহ্      করে       বড়াই       করা।

(৫৫)       অশ্লীল আলোচনায়   মত্ত  থাকা।

(৫৬) অশ্লীল আলোচনা  শ্রবণ করা  ও  তার  স্বাদ  গ্রহণ  করা।

(৫৭)  একেবারে  শেষ  ওয়াক্তে   নামায    আদায়    করার   অভ্যাস   করা।

(৫৮) মোরগের ন্যায়    ঠোকর মেরে রুকু-সিজ্দা  করা।

(৫৯) হালাল-  হারামের  তমিজ  না    করা।

(৬০)  আত্মীয়তার সম্পর্ক    ছিন্ন    করা।

(৬১)    বিধবা,    ইয়াতিম,    গরীব,  মিছকিনের  প্রতি  উদাসীন  থাকা।

(৬২)  পালিত  জন্তুর  প্রতি     হক্ব   আদায়    না     করা।

(৬৩)   সাধারণ   জিনিস প্রতিবেশীকে ধার না দেওয়া।

(৬৪) মানুষের দোষত্রুটি বর্ণনায় হামেশা মশগুল থাকা।

(৬৫) মানুষের গুনাহ্ ও দোষত্রুটিকে বড় করে প্রচার করা- ইত্যাদি।

মন্তব্যঃ  উপরে   বর্ণিত  গুনাহ্   ও    দোষত্র“টি  সমূহ  যার  মধ্যে যে পরিমাণে আছে- সে পরিমাণে সে কবরে শাস্তি ভোগ করবে। পরকালের  শাস্তি ভোগ করবে দোযখে।   বিচার করলে  দেখা যাবে-অধিকাংশ লোকই  উপরোক্ত দোষে   দোষী।   তাই   অধিকাংশ   লোকই  কবর   আযাব ভোগ  করবে-  এতে  সন্দেহ  নেই।

ঐ  সমস্ত    গুনাহ্   ও দোষত্রুটি    থেকে   অল্পসংখ্যক   লোকই   বেঁচে  থাকতে পারে। যারা প্রসাব করে পাক-পবিত্র হবে- তারাই কবর আযাব   হতে   মুক্ত    থাকবে-    ইন্শা-    আল্লাহ্।   কবরের উপরের দিকে চাকচিক্য থাকলেও ভিতরে কিন্তু দুঃখ ও হতাশায়   ভরা    থাকবে।    কবর   আযাব   থেকে   নাজাত পাওয়ার জন্য ঐসব দোষত্রুটি থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করা সবার কর্তব্য।  এটাকে খুব  গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে হবে। ইহার নামই কবরের প্রস্তুতি। (কিতাবুর রূহ্ -এর বর্ণনা শেষ।

ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

তাযকিরাহ্ গ্রন্থের বিবরণঃ কবর আযাবের কারণ

=======
(১)  কুফরীর  কারণে  কবর  আযাবঃ

হযরত  আবদুল্লাহ্  ইবনে  ওমর  (রাঃ)  -এর  একটি   ঘটনা  নাফে’   এভাবে বর্ণনা  করেছেন – হযরত আবদুল্লাহ্  ইবনে ওমর (রাঃ)  বলেন- আমি  বদর ময়দানের একটি  কোনায় পাঁয়চারী করতে  ছিলাম।   হঠাৎ   করে  একটি  লোক  মাটির   নিচ থেকে   বের   হয়ে    আসলো।   তার   গলায়    ছিল   একটি লোহার   শিকল।     উক্ত    শিকলটি   ধরে   আছে   একজন কালো  লোক।  শিকলপরা লোকটি  আমাকে লক্ষ্য করে বললো-  হে   আবদুল্লাহ্!     আমাকে    পানি  দাও।  ইবনে ওমর   (রাঃ)    বলেন-    আমি   বুঝতে   পারলামনা-   এই   লোকটি  কি  সত্যিই   আমার     প্রকৃত  নাম  জানে-   নাকি এমনিতেই আবদুল্লাহ্ বা আল্লাহর বান্দা বলছে। কালো লোকটি  আমাকে  উদ্দেশ্য  করে   বললো-   তাকে   পানি  দিওনা,   কেননা,     সে      কাফের।    একথা   বলে   কালো লোকটি   তাকে  হেঁচ্ড়া  টান    মেরে  আবার   মাটির  নিচে চলে গেল।

আমি  রাসুলকরিম সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লামের  দরবারে   এই  ঘটনা   বলার   পর   নবী  করীম (ﷺ) আমাকে বললেন-
او  قد  رأیتہ ؟  ذاکر  عدو اللّہ    ابو جھل   بن ھشام وھو  عذابہ الی یوم القیامۃ (الانابۃ)
অর্থাৎ  :  ”হে আবদুল্লাহ্  ইবনে ওমর। তুমি কি সত্যিই  তাকে এই অবস্থায় দেখেছো? সে তো আল্লাহর দুশমন আবু  জেহেল  ইবনে  হিশাম।  তার  গলার  শিকল  হচ্ছে  আযাব  এবং  কালো  লোকটি  হচ্ছে  ফিরিস্তা।  কিয়ামত  পর্য্যন্ত    এভাইে    তার    কবর    আযাব     হতে    থাকবে”। (ইনাবা-    কৃত    ওয়ায়েলী,       সুত্রঃ     আল্লামা    কুরতুবীর  তাযকিরাহ্ গ্রন্থ)।

 

(২) প্রস্রাব থেকে পরিপূর্ণ পাক না হওয়ার কারণে কবর আযাবঃ

আবু   বকর  ইবনে  আবু  শায়বা  হযরত   আবু  হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন,
عن  ابی   ھریرۃ عن  النبی ﷺ قال :  اکثر  عذار القبر  من البول
অর্থাৎঃ রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়া   সাল্লাম  এরশাদ করেছেন- “অধিকাংশ  কবর আযাবের কারণই হচ্ছে প্রস্রাব থেকে পবিত্র না হওয়া”।

শরীর  ও  কাপড়  পবিত্র  হওয়া-   নামাযের   দুটি  ফরয। অপবিত্র অবস্থায় নামায  পড়লে নামাযের ফরয আদায় হবে না- ইহাই কবর আযাবের মূল কারণ।

(৩)   অপবিত্রতা   ও   চোগলখুরী    কবর   আযাবের     বড় কারণঃ

হযরত   আবদুল্লাহ্   ইবনে   আব্বাস   রাদিয়াল্লাহু   আনহু  হতে রেওয়ায়াত-
مر   النبی   ﷺ    علی   قبر    ین    فقال   انھما    لیعذبان     ۔ ومایعذبان فی کبیر ۔ اما احدھما وکان یمشی بالنمیمۃ واما   الاٰخر   فکان  لایسنزہ   من  بولہ  فدعا   بعسیب  رطب فشقہ باثنین  ثم  غرس علی ھذا واحدا وعلی ھذا واحدا ثم قال لعلہ یخفف عنھما مالم ییبسا ۔ وفی روایۃ کان لا یستنزہ عن البول رواھما مسلم  وفی کتاب ابی  داؤد وکان لا یستنثر من بولہ وفی حدیث ھناد بن السری ، لا یستبری  من   البول ، من الاستبراء   وقال البخاری  ’’ وما یعذبان فی کبیر وانہ لکبیر
অর্থঃ “হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেনঃ  নবী   করীম  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়া     সাল্লাম  দুটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম  করার সময় এরশাদ করলেন- এরা দুজনেই কবর আযাবে ভুগছে। তবে খুব কঠিন  বিষয়ে  নয়-  অর্থাৎ  যার  থেকে  বাঁচা  খুব  কঠিন  ছিলনা।  তাদের  একজন   চোগলখুরী   করে    বেড়াতো। অন্যজন     প্রস্রাব     থেকে    পূর্ণভাবে    পবিত্র      হতোনা”। একথা   বলে  তিনি একটি তাজা খেজুরডাল আনালেন। ওটাকে   দুভাগ   করে   একটি    এই    কবরে,   অন্যটি   ঐ কবরে  গেড়ে দিয়ে বললেন- ”আশা করা  যায়- তাদের  উভয়ের   কবর   আযাব  হাল্কা   থাকবে-   যতক্ষণ   না    ঐ টুকরো    দুটি    শুকিয়ে    যায়”।    (বুখারী     ও    মুসলিমের  সম্মিলিত ইবারত ও সনদ)।

(মুসলিমের     ভিন্ন     একটি    রেওয়ায়াতে   শব্দের    মধ্যে সামান্য  পার্থক্য  দেখা  যায়। যেমন-  من  البول  অথবা  عن   البول।  আবু  দাউদের    বর্ণনায়  لا  یستنثر  উল্লেখ  করা হয়েছে।    হান্নাদ    ইবনে   ছিররি    -এর   বর্ণনায়   لا یستبرئ  শব্দ   এসেছে।  ইমাম   বুখারী   নিজ  সূত্রে  অত্র  হাদীসের একটি অংশে সামান্য কিছু বৃদ্ধি দেখিয়েছেন, যথা-
وما یعذبان فی کبیر وانہ لکبیر
অর্থাৎ- ”খুব বড়সড় ব্যাপারে  তাদের আযাব হচ্ছে না- অথচ   মূলতঃ  উহাই  কঠিন   আযাবের  কারণ”।  (এটির অনুবাদ     কিতাবুর      রূহ্    -এর    ১    নম্বরে    বর্ণনা    করা হয়েছে)।

ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

অত্র হাদীসে কয়েকটি মাসআলা আছে-

(ক)  চোগলখুরী  করা কবিরা গুনাহ্। প্রস্রাব  থেকে   পূর্ণ পবিত্র    হওয়া     ওয়াজিব।    উহা   তরক   করাও     কবিরা গুনাহ্। বুঝা গেল- কবিরা গুনাহের কারণে কবর আযাব হয়।

(খ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম   সমস্ত  উম্মতের   আমল   সম্পর্কে    অবহিত  আছেন।   এমনকি- মাটির    তলায়    কি    হচ্ছে-    তাও    তিনি    জানেন    এবং  দেখেন। মাটির    উপরে    অবস্থিত    উম্মতের    যাবতীয়  আমল অবলোকন করা তো খুবই সহজ ব্যাপার।

(গ)     নবী    করীম      সাল্লাল্লাহু     আলাইহি    ওয়া    সাল্লাম কবরের ভিতরও স্বচক্ষে দেখেন এবং আযাবের ধরনও দেখেন।

(ঘ)  তাজা  খেজুরডালা  গেড়ে  দিয়ে  নবী  করীম  (ﷺ)  প্রমাণ  করলেন-   তাজা   বৃক্ষলতা  আল্লাহর   তস্বিহ  পাঠ করে।   তাই   কবরের উপর   বা পাশে  তাজা বৃক্ষ  থাকা উত্তম এবং কবরের পাশে আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করলে  বা তাস্বিহ  তাহ্লীল  পড়লেও কবর   আযাব হাল্কা হয়   অথবা বন্ধ থাকে। অতএব ৪০   দিন পর্য্যন্ত কবরে কোরআন তিলাওয়াত করার প্রচলিত নিয়ম অত্র হাদীস দ্বারা অনুমোদিত। কবরস্তানে মসজিদ থাকলে নামাযের মধ্যে তিলাওয়াতের    কারণে কবরবাসীর কবর  আযাব হাল্কা  হয়।  ধর্মের  দুশমনরা  এটা   উপলদ্ধি     না   করেই কবরস্তানে মসজিদ নির্মাণে বাধা দেয়।

(৪) কাফেরদের কবর আযাবঃ

(৪:  ক)    হযরত   আবু   হোরায়রা   (রাঃ)   থেকে   বর্ণিতঃ রাসুল  করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া  সাল্লাম এরশাদ করেছেন-     তোমরা     কি     জানো-     কোরআনের       নিম্ন  আয়াতখানা কাদের ক্ষেত্রে নাযিল হয়েছে?
فان : لہ معیشۃ ضنکا ونحشرہ یوم القیامۃ اعمٰی۔
তোমরা কি জানো- উক্ত আয়াতে معیشۃ ضنکا (অর্থাৎ  ”তাদের   জীবন   হবে   সঙ্কুচিত   এবং   তাদেরকে   আমি  হাশরে উঠাবো অন্ধ বানিয়ে”) -এর অর্থ কী? সাহাবায়ে কেরাম বললেন-
الله اعلم ورسوله
“আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলই সর্বজ্ঞ। রাসুল করিম (ﷺ)  এরশাদ করলেন-
عذاب   الکافر   فی القبر    ۔  والذی نفسی بیدہ  انہ لیسلط علیہ   تسعۃ   وتسعون   تنینا۔    اتدرون   ماالتنین   ؟    تسعۃ وتسعون   حیۃ   لکل  حیۃ  کسعۃ  روس   ینفخن   فی  جسمہ ویلعسنہ ویخدشنہ الی یوم القیامۃ   ۔و   یحشر من  قبرہ الی موقفہ اعمٰی
অর্থাৎঃ “উক্ত আয়াত  ও উক্ত শাস্তি   কাফেরদের   শানে নাযিল    হয়েছে।      “কবরে    তাদের    জীবন    হবে    অতি সঙ্কুচিত”- এ কথার অর্থ হলো- যার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি “কাফেরের কবরে ৯৯টি তিন্নীন সর্প  লেলিয়ে  দেয়া  হবে।  তোমরা  কি   জানো-    তিন্নীন কোন্  ধরণের সাপ? তিন্নীন এমন ধরণের ৯৯টি সাপ- যার  প্রত্যেকটির নয়টি  করে  মুখ  আছে।  মোট ৮৯১টি মুখে তারা কাফেরের শরীরে ফুঁক দিতে থাকবে, তাকে দংশন     করতে    থাকবে    এবং    তার    গোশ্ত     খাবলিয়ে  খাবলিয়ে খেতে থাকবে- কিয়ামত পর্য্যন্ত। তারপর   সে হাশরের          ময়দানে         অন্ধ         অবস্থায়         উঠবে”  (তাযকিরাহ্)।

অত্র হাসীসে কয়েকটি জিনিস প্রমাণিত হলো- যথাঃ

* কাফেরদের কবর সঙ্কুচিত হয়ে   যাবে। তাদের  কবর না    হলেও   বরযখে  তাদের  জীবন  হবে   সঙ্কুচিত  এবং ৯৯টি   তিন্নীন নামক  বিষাক্ত  সাপ ৮৯১টি   মুখে  তাকে দংশন    করবে,   ছোবল  মারবে,   গোশ্ত  চিবিয়ে   চিবিয়ে খাবে।   ইহা  সম্পূর্ণ  গায়েবী  খবর।  ইহার  উপর  ঈমান  আনা      ফরয।       ইহা      ইসলামের        মৌলিক      বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত।     সুতরাং     নবীজীর       এই     ইল্মে     গায়েবকে  অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে।
*  الله اعلم ورسوله
বা ”আল্লাহ্  ও তাঁর রাসুলই সর্বজ্ঞ”- বলা  সাহাবায়ে   কেরামের  সুন্নাত।    সাহাবীগণ   বিশ্বাস করতেন-   আল্লাহ্   ও  তাঁর   রাসুল  সর্ব  বিষয়ে   জ্ঞাত”।  যারা   এটা    মানেনা,     বরং   বলে-   নবী   কোন    গায়েবী বিষয়ই জানতেন না- তারা অজ্ঞ এবং সাহাবী বিরোধী। সুতরাং তারা ঈমানহারা ও বেঈমান।

(৪:   খ)     হযরত   আবু    হোরায়রা   (রাঃ)   এ    হাদীসের  ব্যাখ্যায় বলেছেন-
یضیق علی  الکافر قبرہ حتی  تختلف  فیہ  اضلاعہ  وھوا لمعیشۃ الضنک
অর্থাৎ  :   “কোরআনে  বর্ণিত “মাঈশাতান দ্বানকা” -এর স্বরূপ হলো- কাফেরের উপর তার কবর এরূপ সঙ্কুচিত হবে যে,   তাতে  তার একদিকের হাঁড়    অন্যদিকে  চলে যাবে”।

(৪: গ) হযরত আবু ছায়ীদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন-
سمعت رسول اللّٰہ  ﷺ یقول یسلط علی  الکافر  فی  قبرہ  تسعۃ وتسعون تنینا تنھشہ وتلدغہ حتی تقوم الساعۃ ۔ ولو ان واحدا منھا نفخ فی الارض ما انبتت خضرا
অর্থাৎ  :  “আমি নবী করীম    (ﷺ)   কে এরশাদ করতে শুনেছি- ”কবরে কাফেরের উপর ৯৯ টি তিন্নীন জাতীয় সর্প    লেলিয়ে    দেয়া   হবে।    তারা    তাকে   কেয়ামতের  নির্ধারিত  সময়   পর্য্যন্ত   দংশন  করবে  ও  গোস্ত  চিবিয়ে খাবে।   তাদের    একটি    সর্প    যদি    পৃথিবীতে    নিংশ্বাস ছাড়ে- তাহলে পৃথিবীতে আর কোন ফসল জন্নাবে না”। (তাযকিরাহ্- আবু বকর ইবনে আবি শাইবা সুত্রে)।

বুঝা    গেল-    তিন্নীন    জাতীয়     সাপের    বিষের     ক্রিয়া,  পরিমাপ এবং পরিমাণ সম্পর্কেও আমাদের প্রিয় রাসুল (ﷺ) অবগত রয়েছেন। ইহাই নবীজীর ইল্মে গায়েবের প্রমাণ।

(৫)  হযরত   আলী   (রাঃ)  বলেন-   আমরা   প্রথম  দিকে  কবর     আযাব   সম্পর্কে    সন্দিহান   ছিলাম।   এ    বিষয়ে  আমাদের    সুষ্পষ্ট     ধারণা      ছিলনা।     অতঃপর    আল্লাহ্ তায়ালা “ছুরা তাকাছুর” নাযিল করলেন-
الھٰکم التکاثر حتی زرتم المقابر الخ
অর্থাৎ   “তোমাদেরকে  ভুলিয়ে রেখেছে মাল-দৌলতের আধিক্যের প্রতিযোগিতা-  যে পর্য্যন্ত  না  তোমরা কবরে যাবে।     অবশ্যই  তোমরা   জানতে   পারবে-   কবরে  কি ধরণের    আযাব     নাযিল   হচ্ছে।    হাঁ,    পুনরায়   তোমরা দেখতে   পাবে-  হাশরে  কি   ধরণের  আযাব  তোমাদের উপর      নাযিল      হবে”।      (হযরত       ইবনে      আব্বাসের  তাফসীর)।

(৬: ক) কবর সংকোচন বা চাপ

কবর  সংকোচন  মুমিন-কাফের  নির্বিশেষে  সবার  জন্য নির্ধারিত।    কাফেরের   কবর   সংকোচন   হবে   কুফরীর  আযাব    হিসাবে।    গুনাহ্গারের    কবর    সংকোচন   হবে কবিরাগুনাহের        কারণে।        আর-       নেক্কারের        কবর সংকোচন হবে মাতৃকোলে শিশুদেরকে  মা বুকে   চেপে ধরার ন্যায় আরামদায়ক।

নাছায়ী   শরীফে  হযরত  আবদুল্লাহ্   ইবনে   ওমর  (রাঃ) হযরত     ছাআদ        ইবনে      মুয়াজ     (রাঃ)      -এর     কবর সংকোচনের (চাপ) বিষয়টি এভাবে উল্লেখ করেছেন-
قال رسول اللّٰہ ﷺ ھذا الذی تحرک عرش الرحمٰن وفتحت لہ ابواب السماء  وشھدہ سبعون الفامن الملائکۃ لقد ضم  ضمۃ ثم فرج   عنہ  قال ابو  عبد  الرحمٰن  یعنی سعد  بن  معاذ
অর্থাৎ :   “রাসুলকরিম  (ﷺ)    এরশাদ করেছেন- “ইনি (সা’আদ) সেই ব্যক্তি- যার ইনতিকালে আল্লাহর আরশ কেঁপে    উঠেছিল,    আকাশের    দরজাসমূহ    খুলে    দেয়া  হয়েছিল    এবং   যার     জানাযায়    সত্তর   হাজার   ফিরিস্তা যোগদান করেছিল। তাঁকে কবর একটি চাপ দিয়েছিল। অতঃপর পুনরায় আর চাপ দেয়া হয়নি”।

অত্র   হাদীসের   রাবী   হযরত   আবদুর   রহমান   বলেন-  “নবী করীম (ﷺ) হযরত ছাআদ ইবনে মুয়াযের দিকে ইঙ্গিত  করেই  একথা  বলেছেন”।   তিনি   চাপের  কারণ বর্ণনা    করেননি।  (প্রস্রাবে   অসতর্কতার   কারণেই  এই  অবস্থা একবার হয়েছিল)।

(৬:   খ)   হুযুর   (ﷺ)   -এর   চাচী   এবং   হযরত   আলী,  হযরত     জাফর   ও   হযরত    আকিলের     মা   এবং   আবু তালেবের স্ত্রী ফাতেমা বিন্তে আছাদ (রাঃ) -এর কবরের ঘটনাঃ

ওমর ইবনে শিব্বা  তার  ‘মদিনা’   নামক  গ্রন্থে  ফাতেমা বিন্তে  আছাদের  (রাঃ)  মৃত্যু  ও  কবরের  ঘটনা  এভাবে  বর্ণনা      করেছেন-      “নবী       করীম       (ﷺ)       সাহাবায়ে  কেরামকে নিয়ে  আলোচনায় রত   ছিলেন। এমন  সময় এক     ব্যক্তি     এসে    সংবাদ    দিল-    আলী,    জাফর     ও আকিলের     মা      ইনতিকাল      করেছেন।     হুযুর      (ﷺ) বললেন-    চলো,   আমরা  আমার   মায়ের   (চাচী)  কাছে যাই।        বর্ণনাকারী      বলেন-      আমরা       এসে      এভাবে দাঁড়ালাম-    যেন    আমাদের   মাথার   উপর    পাখী   বসে আছে   (চুপচাপ  নিথর  অবস্থায়)।  যখন  আমরা   হযরত ফাতেমা   বিন্তে   আছাদের    ঘরের     দরজায়    পৌঁছলাম- তখন   নবী  করীম  (ﷺ)  গায়ের  জামা  মোবারক   খুলে বললেন-  যখন  তোমরা আমার মায়ের   কাফন পরাবে- তখন আমার এ  জামাখানা তাঁর কাফনের নিচে  পরিয়ে দিবে।  যখন  লাশের  খাট  নিয়ে  রওয়ানা  হলো-   তখন  তিনি  খাটের   চার   কোনা  ঘুরে  ঘুরে  নিজ   কাঁধে    বহন করলেন।  এভাবে   কবরের কাছে পৌঁছলে তিনি কবরে নেমে শুয়ে গেলেন- আবার উপরে উঠে এলেন। এরপর বললেন-   তোমরা   মাকে   কবরে   নামাও-   “বিছমিল্লাহ্  ওয়া   আলা    ইছমিল্লাহ্”   বলে।    যখন    দাফনের     কাজ সমাধা  হলো-   তখন  তিনি  দাঁড়িয়ে  বললেন-   “আল্লাহ্  আমার       লালনকারিণী      মাকে     উত্তম      পুরষ্কার      দান করুন”।

আমরা হুযুরের জামা প্রদান এবং কবরে শয়নের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি (ﷺ) বললেন-
اردت ان لا تمسھا النار ابدا ان شاء اللّٰہ تعالی وان یوسع اللّٰہ  علیھا  قبرھا  وقال  ما  عفی  احد    من  ضغطۃ  القبر الافاطمۃ بنت الاسد
অর্থাৎঃ   “আমি   আশাবাদী-   ইনশাআল্লাহ্   জাহান্নামের  আগুন তাঁকে কখনও স্পর্শ করবেনা বরং তাঁর কবরকে আল্লাহ্     আরও    প্রশস্ত    করে     দেবেন”।    তিনি     আরো এরশাদ  করলেন- “কবরের   চাপ থেকে   কেহই রেহাই  পায়নি- ফাতেমা বিন্তে আছাদ ছাড়া”।

সাহাবায়ে  কেরাম  পুনরায়   আরয  করলেন-   ”আপনার সাহেবজাদা  হযরত  কাছেমও  কি  কবরের  চাপ  থেকে  রেহাই   পাননি”?  হুযুর  (ﷺ)  এরশাদ    করলেন-  “না। এমন কি- দুধের শিশু ইবরাহীমও নয়”। (ওনাদের চাপ ছিল মাতৃকোলে মায়ের মৃদু চাপের মতো, জলিল)।

(৬: গ) অন্য বর্ণনাঃ হযরত আনাছ (রাঃ) বর্ণনা করেন- যখন ফাতেমা বিন্তে  আছাদ (রাঃ)  ইনতিকাল করলেন- তখন রাসুলকরিম (ﷺ) তাঁর   ঘরে প্রবেশ করে মাথার কাছে  বসে   বললেন-“ হে  মা,  আল্লাহ্ আপনাকে   রহম করুন। আমার  মা   হযরত  আমেনার  (রাঃ) ইন্তিকালের পর আপনিই  ছিলেন আমার মা। আপনি ক্ষুধার্ত  থেকে  আমাকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ায়েছিলেন। নিজে বস্ত্রহীন থেকে     আমাকে   বস্ত্র   পরিধান   করিয়েছিলেন।   আপনি উত্তমখানা    না  খেয়ে  আমাকে  উত্তমখানা  খাওয়াতেন। এসব   কাজে    আপনি   একমাত্র    আল্লাহর   সন্তুষ্টি    এবং পরকালের সুখ-শান্তি  কামনা   করতেন”। এরপর  তিনি  গোসলের  নির্দেশ দিলেন।  যখন   কাপুরের  পানি  আনা হলো- নবী করীম (ﷺ) পানিতে হাত চুবালেন। এরপর নিজের   জামা   মোবারক   খুলে   হযরত   ফাতেমা   বিন্তে  আছাদের গায়ে পরিয়ে দিয়ে তার উপর কাফন পরাতে বললেন। এরপর  উছামা ইবনে  যায়েদ,  আবু  আইউব  আনসারী,     ওমর    ইবনুল    খাত্তাব    এবং    এক    কালো  যুবককে    দিয়ে    কবর    তৈরী    করালেন।    তিনি    নিজে  কবরের মাটি   উপরে  উঠালেন। যখন কবর  করা   শেষ হলো-   তখন  তিনি  কবরে  শুয়ে  গেলেন। তারপর শুয়ে শুয়ে পড়লেন-
الحمد     للّٰہ     الذی     یحیی    ویمیت    وھو    حی    لا    یموت اغفرلامی فاطمۃ  بنت الاسد    ولقنھا   حجتھا  ووسع علیھا مدخلھا بحق  نبیک والانبیاء الذین من قبلی انک ارحم الراحمین  وکبر علیھا ا ربعا  وادخلھا اللحد ھو  والعباس ۔ وابوبکر الصدیق رضی اللّہ عنھم اجمعین
অর্থাৎ  : “হুযুর (ﷺ) এভাবে দোয়া করলেন-“ প্রশংসা করি   সেই   আল্লাহর-   যার  হাতে  হায়াত   মউত।   তিনি নিজে চিরঞ্জীব -যার মৃতু নেই। হে আল্লাহ্! তুমি আমার মা ফাতেমা বিন্তে আছাদকে ক্ষমা করো, তাকে কবরের জওয়াব   শিক্ষা   দাও,    তাঁর   কবরকে    প্রসারিত    করো তোমার নবীর উছিলায় এবং আমার পূর্ববতী আম্বিয়ায়ে কেরামের উছিলায়।  তুমি  অতিশয় দয়াবান”।  তারপর  উঠে এসে চার তাক্বীর দিয়ে জানাযা নামায পড়ে তাঁকে কবরে   রাখলেন।   হুযুরের   সাথে   সাহায্যকারী   ছিলেন  চাচা     আব্বাস     ও     আবু      বকর     ছিদ্দিক     রাদিয়াল্লাহু  আনহুম।    ”    (তাযকিরাহ)।    নবীগণকে    উছিলা    নিয়ে  দোয়া করা সুন্নাত।

(৭)  এক ওয়াক্ত নামায  বিনা   পবিত্রতায়  পড়ায়  কবর  আযাবঃ

عن ابن مسعود عن  النبی ﷺ  قال:  امر  بعید  من   عباد اللّٰہ عزوجل  ان یعذب   فی قبرہ  مءۃ جلدۃ ۔  فلم  یزل  یسال اللّہ ویدعوہ   حتی   صارت   واحدۃ  ۔ فامتلا  قبرہ علیہ نارا  فلما ارتفع  عنہ افاق   فقال لماذا  جلد تمونی؟ قال  انک   صلیت  صلاۃ  بغیر  طھور  ومررت   علی  مظلوم فلم تنصرہ
অর্থাৎঃ “নবী করীম  (ﷺ) এরশাদ করেছেন- আল্লাহর এক  বান্দাকে  কবরে  একশত  দোররা  মারার  আদেশ  করা হলো। সে আল্লাহর  কাছে সকাতরে   ক্ষমা   চাইতে লাগলো।   অতঃপর  তার  একশত  দোররা    ক্ষমা   করে  মাত্র   একটি দোররা মারার নির্দেশ  করা হলো। এতেই তার  কবর   আগুনে   ভরে  গেল।  যখন   তার  হুঁশ  ফিরে আসলো-  তখন  সে  জিজ্ঞাসা  করলো  -  কোন্  দোষের  কারণে  তোমরা  আমাকে  দোররা   মারলে?   ফিরিস্তারা  বললো-     তুমি    এক   ওয়াক্ত     নামায    বিনা   ত্বাহারাতে আদায় করেছিলে”। (তাযকিরাহ্)

(৮) রাসুলেপাক (ﷺ) -এর স্বপ্নযোগে কবরের  আযাব দর্শন

ইমাম বুখারী হযরত ছামুরা    ইবনে জুন্দুব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীস এভাবে বর্ণনা করেছেন-

নবী করীম (ﷺ) ফজরের নামায পড়ে আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে  বসতেন    এবং বলতেন- তোমাদের  কেউ  কি    আজ  রাত্রে  কোন   স্বপ্ন  দেখেছো?   যদি  কেউ  স্বপ্ন দেখতেন-  তাহলে  বর্ণনা   করতেন।   নবী  করীম  (ﷺ) বলতেন-     মাশা-আল্লাহ্;     এবং    স্বপ্নের    ব্যাখ্যা    বলে   দিতেন। একদিন তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন- “তোমাদের কেউ  কি আজ রাত্রে কোন   স্বপ্ন দেখেছো? আমরা বললাম, জ্বি-না।

হুযুর (ﷺ) এরশাদ  করলেন- “কিন্তু  আমি   একটি  স্বপ্ন দেখেছি।    আজ   রাত্রে   স্বপ্নে    দেখলাম-    দুজন     লোক  আমার     কাছে    এসে   আমাকে   হাতে   ধরে   তুলে   এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেলো। গিয়ে দেখি- একজন লোক বসা-   আর  একজন  দাঁড়ানো।  দাঁড়ানো  ব্যক্তির   হাতে রয়েছে    লোহার      করাত।    দাঁড়ানো     লোকটি    লোহার করাতটি বসা  লোকটির  পায়খানার  রাস্তা দিয়ে  ঢুকিয়ে দিচ্ছে। করাতটি তার মাথার খুলি পর্য্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। আবার তার অন্য  রাস্তা  দিয়ে করাত ঢুকিয়ে দিচ্ছে- তা মাথার   খুলি  পর্য্যন্ত   পৌঁছে   যাচ্ছে।   সাথে  সাথে   মাথা আবার     জোড়া   লেগে   যাচ্ছে।  বারবার  তাকে  এভাবে শাস্তি    দেয়া      হচ্ছে। আমি     উক্ত     দুজনকে    জিজ্ঞেস  করলাম-   এরূপ   হচ্ছে   কেন?   তারা   বললো-   সামনে  চলুন।

আমরা  সামনে    অগ্রসর হয়ে দেখতে পেলাম-  একজন লোককে   উঁপুড়   করে   শোয়ানো   হয়েছে।   আরেকজন  লোক তার মাথার কাছে শাবল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐ শাবল   দ্বারা  সে   উঁপুড়  করা  লোকটির  মাথায়   আঘাত করছে।   যখন     তাকে    শাবল   মারছে-   তখন   শাবলটি ছিট্কে   পড়ছে।   দাঁড়ানো   লোকটি   ঐ   শাবল   কুড়িয়ে  এনে দেখে- মাথা পুনরায় জোড়া লেগে গেছে। এভাবে মারছে   আর   মাথা   পুনঃ  জোড়া   লেগে  যাচেছ।    আমি জিজ্ঞেস করলাম- এ ব্যক্তি কে? দুজন বললো- সামনে চলুন।

আমরা  সামনে  অগ্রসর  হয়ে দেখলাম- চুলার   মত  বড় একটি  পাথরের গর্ত।  তার উপরের  দিকটি   সরু- কিন্তু নিচের    দিকটি   প্রশস্ত।    চারদিকে    আগুন    জ্বলছে।   ঐ চুলার  গর্তের   মধ্যে  অনেক   উলঙ্গ   পুরুষ  এবং  মহিলা দেখতে পেলাম। আগুনের  তেজ বেড়ে  গেলে ভিতরের লোকগুলি বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করছে। আবার  আগুন নিভে গেলে লোকগুলো ভিতরে প্রবেশ করছে। জিজ্ঞেস করলাম-  এরা  কারা?  উক্ত    দুইসাথী   বললো-    আরো সামনে চলুন।

সামনে এগিয়ে   গেলাম  এবং  দেখতে  পেলাম- রুক্তের একটি   নহর।  ঐ  নহরের  মধ্যে  একটি  লোক  দাঁড়িয়ে  আছে-  আর নহরের তীরে  একজন  লোক পাথর   নিয়ে  দাঁড়িয়ে আছে।   নহরের লোকটি  তীরে আসতে  চাইলে তীরে  দাঁড়ানো  লোকটি তার মুখে পাথর নিক্ষেপ   করে তাকে নহরে নামিয়ে দিচেছ। এভাবেই বারেবারে উঠার চেষ্টা   করা   হচ্ছে  এবং  বারেবারেই  মুখে  পাথর   মেরে  নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।   আমি জিজ্ঞেস করলাম- এ  ব্যক্তি কে? তারা বললো- আরো সামনে চলুন।

সামনে   গিয়ে   দেখলাম- বিরাট এক সবুজ   বাগান।  ঐ বাগানে  রয়েছে  বিরাট  এক  বৃক্ষ।   তার  গোড়ার  মধ্যে  বসে  আছেন   একজন  বুযর্গ  বৃদ্ধলোক  এবং  কতগুলো  শিশু।  আরেকজন  লোক  গাছের    নিকটে   বসে   সামনে আগুন   জ্বালাচ্ছে।   আমার   সাথী  দুজন   আমাকে  নিয়ে  গাছে    আরোহন   করলো    এবং   আমাকে   একটি    ঘরে  প্রবেশ করালো। ঘরটি এত  সুন্দর- যা আমি  কোনদিন দেখিনি। ঐ ঘরে আছেন অনেক  বৃদ্ধ,  যুবক, মহিলা  ও ছোট  ছোট  শিশু।  ঐ  দুজন   সাথী   আমাকে  ঘর   থেকে বের   করে  দিয়ে   গাছ  থেকে  নেমে   আসলো।   পুনরায় আমাকে   এমন   একটি   ঘরে   নেওয়া   হলো-   যা   অতি  উত্তম  ও চমৎকার। ঐ ঘরে  আছে   বৃদ্ধ  এবং  যুবকরা। আমি     দুইসাথীকে   বললাম-  তোমরা  আমাকে   রাত্রের বেলায় অনেক জায়গায় ঘুরিয়েছো। এখন  বলো- আমি কি দেখ্লাম?

তারা  বললো-  হাঁ,  বল্ছি।

(১) আপনি যাদেরকে  মাথা   ছিদ্র  হতে    দেখেছেন-  তারা    হলো   মিথ্যাবাদী  লোক। তারা     মিথ্যা   কথা   নিয়ে    গুজব    ছড়াতো।   তাদেরকে কবরে  এভাবেই   শাস্তি  দেয়া   হবে।

 (২)  যাদের   মাথা শাবল  ও  পাথর  দিয়ে  ভাঙ্গা  হচ্ছে-  তারা  হলো  এমন  লোক-   যাদেরকে   আল্লাহ্   কোরআনের   এলেম   শিক্ষা  দিয়েছেন।   কিন্তু   তারা    রাত্রে    কোরআন      তিলাওয়াত করতোনা  এবং  দিনে  তা আমলও  করতো  না।  কবরে তাদেরকে  এভাবেই কিয়ামত  পর্য্যন্ত  শাস্তি দেয়া হবে।

(৩) যাদেরকে চুলার মধ্যে দেখেছেন- তারা যিনাকারী। যাদেরকে নহরে  পাথর নিক্ষেপ হতে দেখেছেন-  তারা   হলো   সুদ্খোর।

(৪)   আর   বৃক্ষের   গোড়ায়   যে   বুযর্গ  বৃদ্ধকে দেখেছেন- তিনি  হযরত ইবরাহীম (আঃ)।  তাঁর চারপাশে ছোট   শিশুরা হচ্ছে মানুষের  মৃত শিশুসন্তান।  আর  বৃক্ষের  অদূরে  যাকে  আগুন  জ্বালাতে  দেখেছেন-  তিনি   দোযখের    দারোগা     মালেক।

  প্রথম    যে   ঘরটি দেখেছেন-  সেটি   হচ্ছে  সাধারণ  মোমেনদের  বেহেস্ত।  আর  দ্বিতীয়    ঘরটি  হচ্ছে  শহীদদের  বাসস্থান।   আমার নাম      জিব্রাঈল।   আমার   সঙ্গী    হচ্ছেন    মীকাঈল।   হে  রাসুল! আপনি মাথা তুলে দেখুন। হুযুর (ﷺ) বললেন- আমি      মাথা    তুললাম।   দেখি-   আমার   মাথার   উপরে মেঘমালা।

তারা বললো- ইহা আপনার বাসস্থান। আমি বললাম-   আমাকে   আমার   ঘরে     ঢুকতে    দাও।   তারা বললো-   এখনও  আপনার  হায়াত   বাকী  আছে।  যখন  হায়াত পূর্ণ হবে- তখন আপনার বাসস্থানে আসবেন। ” (তাযকিরাহ্- হাওয়ালা বোখারী)।

ব্যাখ্যাঃ ইমাম কুরতুবী বলেন-“ বুখারীর এই বিবরণের চেয়ে কবর  আযাব  সম্পর্কে  এত  বিস্তারিত ও পরিস্কার বর্ণনা   আর  হতে পারে না। নবীগণের স্বপ্ন অহী। ইহার উপর  আমল  করা  ওয়াজিব।  হযরত   ইবরাহীম   (আঃ) স্বপ্নে    আদেশ    পেয়েই    পুত্র    ইসমাঈলকে    কোরবানী  দিয়েছিলেন।

ইমাম  ত্বাহাবী   বর্ণিত   একটি   হাদীস  প্রমাণ   করে   যে, নামায   তরককারী   কাফের   নয়-    তার   দোয়া    আল্লাহ্  কবুল  করেন”।  খারেজী   ওহাবী   সম্প্রদায়    মনে  করে- নামায      তরক      করলে    কাফের    হয়ে    যায়।    অনুরূপ  কবিরাগুনাহ্  করলেও  কাফের  হয়ে  যায়।  তাদের  এই ধারণা  বাতিল।  বুখারী  ও   মুসলিম   বর্ণিত দুই কবরের আযাব   সম্বলিত   হাদীস  দ্বারা  প্রমাণিত  হয়  যে,  প্রস্রাব করে     পূর্ণ    পাক   হওয়া   ওয়াজিব।    কেননা,   ওয়াজিব তরক করলেই আযাব হয়”।

আল্লামা কুরতুবী আরো  বলেন-  “হযরত ছাআদ  ইবনে  মুয়ায   (রাঃ)  প্রস্রাব  থেকে   পরিপূর্ণ  পাক  হননি  বলেই তাঁকে   কবর    চাপ    দিয়েছিল।   অবশ্য     রাসুলেপাকের দোয়ায় কবর পূনঃ প্রশস্ত হয়ে যায়। তারপর আর কবর সংকোচিত হয়নি”। (তাযকিরাহ্)

যারা    অন্যের    সাথে    তুলনা    করে    হযরত    মোয়াযের ব্যাপারে       ফতোয়াবাজী       করে-       তারা       নিঃসন্দেহে  বাতিলপন্থী  ও   সাহাবা  বিদ্বেষী।   আল্লাহ্     আমাদেরকে সাহাবা সম্পর্কে সতর্ক রাখুন।

কবরের চাপ থেকে রক্ষা পাবে কে কে?

আবু  নোয়াঈম  রেওয়ায়াত    করেন- রাসুলকরিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন-
من قرأ سورۃ الاخلاص فی مرضہ الذی مات فیہ لم یفتن فی  قبرہ  وأمن  من  ضغطۃ   القبر  وحملت  الملائکۃ   یوم القیامۃ باکفھا حتی تجیزہ من الصراط الی الجنۃ
অর্থাৎঃ “যেব্যক্তি মৃত্যুশয্যায় ছুরা ইখ্লাছ পাঠ করবে- তার    কবর   আযাব   হবেনা   এবং  কবরের  যন্ত্রনাদায়ক চাপ     থেকেও     সে     রেহাই    পাবে।    কিয়ামতের     দিন ফিরিস্তারা    তাকে    হাতে    ধরে    পুলছিরাত    পার    করে  জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিবেন”। (আবু নোয়াঈম)।

প্রশ্নঃ  অত্র হাদীসে বুঝা যায়- মৃত্যু শয্যায়  ছুরা ইখ্লাছ তিলাওয়াতকারী     ব্যক্তি    কবরের   চাপ     থেকে   রেহাই পাবে।  অথচ অন্য একটি হাদীসে   দেখা যায়-  কবরের চাপ  থেকে  যদি  কেউ  বাঁচতো-  তাহলে  ছাআদ  ইবনে  মুয়াযই  রক্ষা পেতেন।  বুঝা  যায়- দুটি হাদীস পরস্পর বিরোধী। এর সমাধান কী?

জওয়াবঃ    কবরের   চাপ   সবারই    হবে।   তবে   মোমিন ব্যক্তিদের     জন্য     চাপ     হবে     মাতৃকোলের     শিশুদের  কোমল  চাপের   ন্যায়    আরামদায়ক।   তাদের  কবরের  চাপ    শাস্তিমূলক     হবেনা।    গুনাহ্গারদের      চাপ      হবে কষ্টদায়ক।   আর   কাফেরদের   চাপ   হবে   হাঁড়   এপাশ  ওপাশ হওয়ার জন্য।

অথবা এ ব্যাখ্যাও হতে  পারে    যে, প্রত্যেক  নিয়মেরই ব্যতিক্রম    থাকে।   আরবীতে    বলা    হয়-   تخصیص   بعد  التعیم۔  অর্থাৎ  “আমভাবে    নীতিমালা   বর্ণনার   মধ্যেই কিছু      খাস    ব্যবস্থা    থাকে”।    সুতরাং    বিশেষ    বিশেষ আমলকারীদের    জন্য    রেয়ায়েত    করা   হবে।   ইহাতে  সাধারণ নীতিমালায় কোন ব্যাত্যয় ঘটবেনা।

শবে মি’রাজে কবরের আযাব দর্শনঃ
======
(৯:     ক)     হযরত     আবু     হোরায়রা     (রাঃ)     ছুরা     বনী  ইসরাঈলের  মি’রাজ সংক্রান্ত  প্রথম আয়াতের ব্যাখ্যায়  বলেনঃ

”হুযুর (ﷺ) -এর খেদমতে ঘোড়ার আকৃতিতে বোরাক আনা   হলো।   তিনি  তাতে আরোহন করলেন। বোরাক  তার     দৃষ্টি      সীমানার     শেষপ্রান্তে    এক    কদমে     গমন  করতো।  সফরসঙ্গী  ছিলেন  হযরত  জিবরাঈল  (আঃ)।  গমনপথে    একদল   লোককে   দেখলেন-   তারা    একই  দিনে ফসল  লাগাচ্ছে,   আর পাকা  ফসল   ঘরে তুলছে। ফসল   তোলার   সাথে    সাথে   আবার    ফসল   গজাচ্ছে। জিবরাঈলকে    হুযুর      (ﷺ)    জিজ্ঞেস    করলেন-     এরা কারা?     জিবরাঈল    বললেন-     উনারা     হচ্ছেন     মক্কার মুহাজির-  যারা আপনার কথায় বাড়ীঘর ছেড়ে মদিনায় হিজরত করবে। তাঁদেরকে পুরস্কার দেয়া হবে সাতশত গুণ।

আর  এক দলকে দেখলেন-  তাদের মাথায় পাথর দ্বারা আঘাত   করা     হচ্ছে।   তাতে   মাথা   ফেটে  চৌচির  হয়ে যাচ্ছে।    পুনরায়   মাথা  পূর্বাবস্থায়  ফিরে    আসছে  এবং পুনরায়      আঘাত      করা      হচ্ছে।       জিজ্ঞাসার       জবাবে জিবরাঈল (আঃ) বললেন- এরা  নামাযকে  বোঝা মনে  করতো।    আর   একদল    লোককে     দেখলেন-    তাদের সামনে রয়েছে বড় ডেক্সি। তাতে রয়েছে সুস্বাদু গোস্ত। অন্য     ডেক্সীতে   রয়েছে   অপবিত্র    খবিছ   গোস্ত।   তারা পবিত্র গোস্ত বাদ   দিয়ে  অপবিত্র  গোস্ত খাচ্ছে।  হুযুরের প্রশ্নের   উত্তরে  জিবরাঈল  (আঃ)   বললেন-এরা   হালাল স্ত্রীকে বাদ দিয়ে খবিছ ও হারাম মহিলাদের সাথে রাত্রি যাপন করতো।

আর     এক     দলকে     দেখলেন-     তারা     বিরাট     বোঝা  একত্রিত      করছে-     কিন্তু     মাথায়     তুলতে      পারছেনা। এতদসত্বেও   বোঝা  আরো  ভারী   করছে।  হুযুর  (ﷺ) জিজ্ঞেস     করলেন-     এরা     কারা?     জিবরাঈল     (আঃ)  বললেন- এরা মানুষের আমানত নিয়ে ফিরিয়ে দেয়না- বরং     আরো     আমানত     নেয়।     (যেমন     কিছু     আদম  বেপারী)।  আর   এক  দলকে  দেখলেন-   তারা   লোহার  কাঁচি     দিয়ে    আপন      ঠোঁট    কাটছে।    বারেবারে    ঠোঁট কাট্ছে,  আবার  ঠোঁট    গজাচ্ছে।

হুযুর   (ﷺ)   জিজ্ঞেস করলেন- এরা  কারা?  জিবরাঈল (আঃ) বললেন- এরা  হচ্ছে ফেত্নাবাজ বাতেলপন্থী ওয়ায়েজ। কিছুদূর অগ্রসর হয়ে  দেখলেন- একটি ছোট পাথর। তার  থেকে একটি বড় ষাঁড় বেরুচ্ছে। ষাঁড়টি- পুনরায় ছোট পাথরে প্রবেশ করার   চেষ্টা  করছে-  কিন্তু   ঢুকতে   পারছেনা।  জিজ্ঞেস করলেন- জিবরাঈল,  এটা কিসের প্রতীক? জিবরাঈল   (আঃ) বললেন- এ হলো এমন এক ব্যক্তির প্রতীক- যে এমন  কিছু  বেফাঁস  কথা    বলে  ফেলেছে-     যা  ফিরিয়ে নিতে  পারছে  না।  সেজন্য   সে   লজ্জিত”।  হযরত  আবু হোরায়রা (রাঃ) এ প্রসঙ্গে দীর্ঘ হাদীস বয়ান করেছেন। (তাযকিরাহ্)।

ব্যাখ্যাঃ বুঝা গেল- কবরে এ ধরণের আযাব হচ্ছে এবং হবে।    হযরত   জিবরাঈল   (আঃ)  এসব  জিনিস  ব্যাখ্যা করার   জন্য   আদিষ্ট    হয়েছিলেন।    নবী    করীম   (ﷺ)  উর্দ্ধজগত ও নিম্মজগতের সব  কিছু হাতের  তালুর  মত দেখা    সত্বেও    জিবরাঈলকে    জিজ্ঞাসা    করার     কারণ  হলো-  আল্লাহর ব্যবস্থামতে  কাজ করা।  এটাই  নিয়ম। জানা      সত্বেও      জিজ্ঞাসা      করায়      জিবরাঈল      (আঃ)  গৌরববোধ    করেছেন।  মনিব     সব   সময়   অধীনস্থের কাছে   জানতে  চায়।  এটার  অর্থ  এ  নয়   যে-  মনিব  এ সম্পর্কে কিছুই জানে না।

বাতিল   ফের্কার  আলেমরা  এই  ঘটনার  দ্বারা   মানুষকে এভাবে   ধোঁকা   দিতে    চেষ্টা   করে     যে-   দেখ!   নবীজী গায়েব    জানেন    না।   জানলে   জিজ্ঞাসা    করতেন   না।  (নাউযুবিল্লাহ্)।  আল্লাহ্  তায়ালা  নিজেও  অনেক  সময়  প্রিয় নবীজীকে জিজ্ঞাসা করতেন-   এটা কী, ওটা   কী? এতে  কি একথা বুঝা  যায়  যে, আল্লাহ্ জানেন না-তাই জিজ্ঞাসা করছেন?    নাউযুবিল্লাহ্!  নবী ও  জিবরাইলের অবস্থাও তদ্রুপ।

ইহকাল ও পরকালের অসীম কুদরত দেখানোর জন্যই মি’রাজ      সংঘটিত      হয়েছিল।       কবরের       আযাব      ও পরকালের     শাস্তি   এবং   মানুষের   কর্মফল   হলো   তার অংশ  মাত্র।  নবীজী দুনিয়া  ও  আসমান একসাথে নিজ হাতের তালুর মত দেখতে পাচ্ছেন।

(৯:  খ)  হযরত আবু   ছায়ীদ     খুদরী (রাঃ) কর্তৃক কবর আযাব বর্ণনা

হযরত      আবু    ছায়ীদ      খুদরী    (রাঃ)    বলেন-     হুযুরের সাথীগণ     আরয     করলেন!     ইয়া     রাসূল্লাল্লাহ্     (ﷺ)-  আমাদেরকে    মি’রাজের    কিছু    ঘটনা    বলুন।    (মক্কায়  মি’রাজ   হওয়ায়    মদিনার   সাহাবীগণ     পরবর্তী   সময়ে এরূপ জানতে চাইতেন)।

হযরত  আবু   ছায়ীদ   খুদরী  (রাঃ)   বর্ণিত    হুযুরের  দীর্ঘ হাদীসের প্রাসঙ্গিক একাংশ হলো নিম্নরূপ-

“হুযুর     (ﷺ)   এরশাদ    করেন-    “আমি   ও   জিবরাঈল উপরে আরোহন করে- দেখলাম একজন ফিরিস্তা। নাম তাঁর       ইসমাঈল।       সে       প্রথম       আকাশের       দায়িত্বে  নিয়োজিত।      তার        সামনে     দেখলাম     সত্তর     হাজার ফিরিস্তা।  প্রত্যেক   ফিরিস্তার   অধীনে  রয়েছে  এক  লক্ষ সৈনিক  ফিরিস্তা।  (এ  যেন  আর্মির  ব্রিগেড  ও  প্লাটুন)।  অংকের            হিসাবে              ইসমাইলের            সাথে             ছিল ৭০,০০০ঢ১,০০,০০০    =    ৭০০,০০০০০০০    সাতশ কোটি ফিরিস্তা।  আল্লাহ্পাক ফিরিস্তা সৈনিকদের সংখ্যা সম্পর্কে বলেন-
وما یعلم جنود ربک الاھو
“হে প্রিয় হাবীব!  আপনার রবের সৈন্য সংখ্যা কত- তা তিনিই জানেন”। (ছুরা মুদ্দাচ্ছির ৩১ আয়াত)।

এরপর জিবরাঈল (আঃ) প্রথম আকাশের দরজা খুলতে বললেন।  দরজা  খোলা  হলো। আমি  দেখলাম- হযরত আদম (আঃ)  সৃষ্টি সময়ের সুরতে সেজে  আছেন। তাঁর কাছে মুমিন আওলাদগণের রূহ্ হাজির করা হচ্ছে- আর তিনি বলছেন- এরা পবিত্র রূহ এবং পবিত্র নফ্সসমূহ। এদেরকে  ইল্লিয়্যিনে   নিয়ে  যাও। তারপর   তাঁর   কাছে আনা  হচ্ছে কাফের  আওলাদদের রূহ। তিনি   বলছেন- এরা   খবীছ   রূহ,   খবীছ   নফ্স।   এদেরকে   ছিজজীনে  নিয়ে যাও”। (সুব্হানাল্লাহ্ ওয়া বিহাম্দিহী)।

হুযুর (ﷺ) বলেন- এর কিছু পর আমি দেখতে পেলাম- দুটি খাদ্যের ট্রে আমার  সামনে   আনা হলো। একটিতে সুগন্ধময় গোস্ত- অন্যটিতে পুতিগন্ধময় গোস্ত। সুগন্ধময় ট্রের কাছে কেউ যাচ্ছে না। বরং পুতিগন্ধময় ট্রের কাছে লোকেরা  ঝাঁপিয়ে  পড়ছে-  আর  দুর্গন্ধময়  গোস্ত  ভক্ষণ  করছে।

  জিজ্ঞেস   করলাম- জিবরাঈল!   এরা   কারা?  জিবরাঈল বললেন-
ھولاء من امتک یترکون الحلال ویأکلون الحرام
অর্থাৎ-   “এরা    আপনারই   এক    শ্রেণীর    উম্মত।   এরা হালাল  বাদ  দিয়ে  হারাম   খেতো”।  এর    কিছুক্ষণ  পর  আমি দেখতে পেলাম- একদল লোকের পেট প্রাসাদের মত  বড় বড়।  যখনই তারা হাঁটতে চায়- আছাড়  খেয়ে  পড়ে    যায়।   আমি   জিজ্ঞাসা    করলাম-   হে    জিবরাঈল -এরা কারা? জিবরাঈল (আঃ) বললেন-
ھولاء الذین  یأکلون الربا  لا  یقومون  الاکما یقوم الذی یتخبطہ الشیطان من المس
অর্থাৎ  :  “এরা   হলো   সুদ্খোর।  তারা  হাশরে  এভাবে দাঁড়াবে-  যেভাবে  জ্বীনে  ধরা   রোগীরা   মোহাবিষ্ট   হয়ে দাঁড়ায়। (বাক্বারা-২৭৫ আয়াত)।

এর   কিছুক্ষণ     পর   দেখতে   পেলাম-    একদল   লোক। তাদের মুখ   উটের  মুখের মত।   এদের মুখ ফাঁক  করে গরম   পাথর  তাদের    পেটে   ঢুকিয়ে  দেয়া  হচ্ছে-   আর নিচে  দিয়ে   বের    হয়ে   যাচ্ছে।  আমি    শুনতে   পেলাম- তারা আল্লাহর কাছে চীৎকার করে পানাহ্ চাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস      করলাম-        হে       জিবরাঈল!       এরা      কারা? জিবরাঈল বললেন-
وھولاء الذین  یأکلون اموال الیتامی ظلما انما  یأکلون فی بطونھم نار ا وسیصلون سعیرا
অর্থাৎ : “এরা এতিমের সম্পদ ও হক যুলুম করে খায়। এরা  নিশ্চয়ই পেটে  আগুন ভর্তি  করছে  এবং  অচিরেই তারা   জাহান্নামে    পৌঁছে   যাবে”।    (ছুরা   নিছা    আয়াত ১০)।

হুযুর  (ﷺ)  বলেন- এর  কিছুক্ষণ পর  দেখতে পেলাম- কতিপয় নারীকে  বুকে রশি দিয়ে   বেঁধে লট্কিয়ে  রাখা হয়েছে। আমি শুনতে পেলাম- তারা  বুক চাঁপড়ে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলাম- হে   জিবরাঈল!   এরা  কি   ধরণের   মহিলা?   জিবরাঈল  বল্লেন- এরা আপনার উম্মতের ব্যভিচারিনী নারী।

এর       কিছুক্ষণ       পর       দেখতে      পেলাম-      একশ্রেণীর  লোকদেরকে   শরীরের   গোস্ত   কেটে   কেটে   খাওয়ানো  হচ্ছে-     আর    বলা     হচ্ছে-      নাও!     দুনিয়াতে     তোমরা তোমাদের ভাইয়ের মাংশ খেতে, এখন সেভাবে আপন গোস্ত খাও।  আমি জিজ্ঞাসা করলাম,    ভাই জিবরাঈল-  এরা কারা? জিবরাঈল বল্লেন- এরা দুনিয়াতে মানুষের গীবত  করে  বেড়াতো”। (দীর্ঘ হাদীস)। কবরের ঘটনা  এগুলো।

(৯: গ) গীবতের শাস্তি

রাসুল মকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন-
لماء عرج بی مررت بقوم لھم اظفار من نحاس   یخمشون  وجوھھم وصدورھم فقلت من  ھولاء یا جبرائیل؟ قال : الذین یأکلون لحوم الناس ویقعون فی اعراضھم
অর্থাৎ : “যখন আমাকে (নবী) উর্দ্ধজগতে নেয়া  হলো-  তখন     আমি     এমন     একদল     লোকের     নিকট     দিয়ে অতিক্রম করেছিলাম- যাদের নখ হলো শীসার। ঐ নখ দিয়ে  তারা  মুখ ও বুক  খাম্ছিয়ে ছিড়ে    ফেলছে। আমি বললাম-   হে  জিবরাঈল!   এরা  কি   ধরণের   অপরাধী? জিবরাঈল বললেন- এরা মানুষের গোস্ত খেতো (গীবত করতো) আর তাদের আব্রু ইজ্জত নষ্ট করতো”।  (আবু দাউদ হযরত আনাছ ইবনে মালেক থেকে)।

নবী  করীম     (ﷺ)  মি’রাজে  যা  যা   দেখেছেন-   কবরে তাই হবে এবং হাশরে ও দোযখে অনুরূপ শাস্তিই দেয়া হবে।  হে  আল্লাহ্! আমাদের অন্তরে কবর   ও দোযখের  ভয় সৃষ্টি করুন এবং দুনিয়ায় থাকতেই নিজেকে পবিত্র করার তৌফিক দিন।

Project Accountant at Enroute International Limited

0
Project Accountant

Project Accountant

[toc]

Project Accountant at Enroute International Limited

📢 Exciting Job Opportunity: Project Accountant at Enroute International Limited 📢

🏢 Company: Enroute International Limited
🌍 Location: Dhaka
💼 Job Type: Contractual (Initially 6 Months – Renewable)

💼 Are you a detail-oriented finance professional looking for a new challenge? Enroute International Limited is hiring a Project Accountant to join our dynamic team! If you have a passion for numbers and a strong background in finance/accounting, this opportunity is perfect for you.

Key Responsibilities:

✅ Manage cash and bank transactions effectively
✅ Verify purchase bills and supporting documents meticulously
✅ Collaborate with third parties for purchase and documentation requirements
✅ Prepare accurate bills, vouchers, and supporting documentation
✅ Reconcile monthly bank statements for multiple accounts
✅ Utilize Tally.ERP9 software to record transactions and generate financial statements
✅ Process salary statements and ensure prompt payment via bank
✅ Calculate and deposit VAT and tax on purchases, house rent, and more
✅ Maintain supplier records and process payments through secure channels
✅ Fulfill project-related documentation needs efficiently

Instagram Down! বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ব্যবহারকারী সমস্যার সম্মুখীন

Requirements:

🎓 Bachelor’s degree in Finance/Accounting
🔢 1+ years of experience in finance/accounting or related field
💻 Proficiency in MS Office and computer operations
💪 Strong self-control, pursuit of excellence, effective self-compression, and self-motivation
🔍 Strong commercial sensitivity, action-oriented mindset, and logical thinking

💸 Salary Range:

BDT 20,000 – 25,000 per month

📆 Don’t miss out on this incredible opportunity! Apply now by submitting your complete CV to cv@enroute.com.bd Please mention “Project Accountant” in the subject line. Early applications will receive priority consideration.

🌟 About Enroute International Limited: Your Trusted Outsourcing Partner in Bangladesh! 🌟

🚀 Embark on a journey of success with Enroute, the leading outsourcing company in Bangladesh! Our name and brand speak volumes about our commitment to providing comprehensive solutions powered by advanced technology. 💪

🔑 Unlock your business’s true potential with our specialized support, guiding you on the right path to success. Our efficient resources ensure seamless operations and exponential growth for our clients. 📈

🌐 Explore our diverse range of services, including Business Process Outsourcing, Media Agency expertise, Organizational Capacity Building, Market Research, and Development Project Implementation. 💼

💥 Partnered with renowned multinational and local organizations, we deliver cutting-edge solutions that drive innovation and maximize your business’s impact. 🌍

🔒 Trust Enroute International Limited to navigate your business towards success, ensuring excellence every step of the way! 💼💡

Join us at Enroute International Limited and be a part of our dedicated team working towards financial success in our projects!

#EnrouteInternationalLimited #JobOpening #ProjectAccountant #Finance #Accounting #Dhaka #JobOpportunity #OutsourcingPartner #CuttingEdgeSolutions #BusinessSuccess #Innovation #Excellence #Bangladesh

মোদি তথ্যচিত্র : বিবিসিকে তলব দিল্লি হাই কোর্টের

0
বিবিসিকে তলব দিল্লি হাই কোর্টের
বিবিসিকে তলব দিল্লি হাই কোর্টের

আন্তর্জাতিক, বিবিসিনউজ২৪ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্ট দুই দশক আগে নৃশংস গুজরাট দাঙ্গা এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জড়িত থাকার বিষয়ে বিতর্কিত বিবিসি ডকুমেন্টারি ‘ইন্ডিয়া- দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে দায়ের করা মানহানি মামলায় ব্রিটিশ-ভিত্তিক গ্লোবাল মিডিয়া এক্সিকিউটিভদের তলব করেছে।

সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্তের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ বিবিসির যুক্তরাজ্য সদর দফতর এবং বিবিসি ইন্ডিয়া অফিসের নির্বাহীদের কাছে এই আদেশ জারি করেছে।

‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’ নামে একটি ভারতীয় অলাভজনক এনজিও কয়েক মাস আগে দিল্লি হাইকোর্টে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল, অভিযোগ করে যে বিবিসি ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ ডকুমেন্টারির মাধ্যমে বৈশ্বিক অঙ্গনে ভারতের মানহানি করার চেষ্টা করেছে। ওই রিটে বিবিসির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া এবং ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে সংগঠনটি।

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

সোমবার সেই রিটের ওপর শুনানি শেষে আদালত এ ব্যাপারে বিবিসির বক্তব্য জানতে চেয়ে এই তলবের আদেশ দেন। আগামী ১৫ সেপ্টের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে দিয়েছেন বিচারক। যদি সেদিন বিবিসির দুই শাখার প্রতিনিধিরা হাই কোর্টে হাজির না থাকেন, সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগে পড়বে বিবিসি।

দিল্লি হাই কোর্টের জেষ্ঠ্য আইনজীবী অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে আদালতে রিটকারী ওই এনজিওর প্রতিনিধিত্ব করছেন। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, দুই খণ্ডের ওই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বিবিসি কেবল ভারতের রাজনীতিই নয়, বিচারব্যবস্থার মানহানি করেছে।

গত ১৭ জানুয়ারি ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামের একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে বিবিসি ২ টেলিভিশন চ্যানেল। মূল বিবিসিরই একটি শাখা এই চ্যানেলটি।

তথ্যচিত্রটিতে প্রধানত দেখানো হয়েছে, কীভাবে ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাকে ব্যবহার করে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এমন অনেক কথাই অবশ্য ছবিটিতে বলা হয়েছে, যা নতুন নয়; কিন্তু যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এক জায়গায় এনে বিবিসি একটি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছে। আর তত্ত্বটি হলো, গুজরাট দাঙ্গা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে।

এই প্রক্রিয়ায় কীভাবে তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং হিন্দুত্ববাদী নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ভারতের বিচারব্যবস্থা তাঁকে সাহায্য করেছে, তা ও দেখানো হয়েছে ছবিতে।

 

ঘরে বসে spoken english
ঘরে বসে spoken english

এদিকে, দুই খণ্ডের সেই তথ্যচিত্রটি প্রকাশের পর রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় ভারতের রাজনীতিতে। চিত্রটির প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি ও বিজেপিবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তার জেরে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তথ্যচিত্রটি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মানহানির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বানানো হয়েছে এ তথ্যচিত্র।

তার কিছুদিন পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বিবিসি ভারত শাখার দিল্লি ও মুম্বাই কার্যালয়ে হানা দেন ভারতের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। তিন দিন ধরে চলা সেই তল্লাশি অভিযান শেষে দুই কার্যালয়ের আর্থিক লেনদেন ও ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তারা জব্দ করে নিয়ে যান।

আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, দুই কার্যালয়ে তারা সমীক্ষা চালিয়েছেন, তল্লাশি নয় এবং পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা শেষে যাবতীয় নথি ও কাগজপত্র তারা ফেরত দেবেন।

সেই অভিযানের প্রায় দু’মাস পর, ১৩ এপ্রিল ভারত শাখার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা করে ভারতের আয়কর বিভাগ। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম এখনও চলছে।

কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

0
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

বিবিসিনিউজ২৪ ডেস্ক: কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোহায় অনুষ্ঠিতব্য ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম’-এ যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

সোমবার (২২ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এসময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, কূটনৈতিক, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ফোরামে অংশ নেবে।

বায়ুদূষণের প্রথমে দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা

আন্তর্জাতিক: ট্রেনের লাউডস্পিকারে হিটলারের বক্তৃতা, গ্রেফতার ২

ব্লুমবার্গের সহায়তায় আগামী ২৩ থেকে ২৫ মে কাতারের দোহায় ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম’ : ‘এ নিউ গ্লোবাল গ্রোথ স্টোরি’ শীর্ষক ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদসহ প্রযুক্তি, অর্থ ও ব্যবসা খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।

সফরে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আলে সানির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

সফর শেষে ২৪ মে (বুধবার) রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫ মে (বৃহস্পতিবার) ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি।

এর আগে গত মার্চে এলডিসি ৫ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য কাতারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ইকোনমিক ফোরামটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে বিরূপ অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া সমাধানের পথ খুঁজে বের করার কাজ চলছে।

Popular Post

যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয় - BBC NEWS 24

যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয় গুনাহর কারণে জ্ঞান অর্জন থেকে মাহরুম থাকতে হয় । রুজিতে বরকত হয় না, এবাদতে মন বসে না, নেক লোকের সংসর্গ ভালবাসে না। অনেক সময় কাজে নানা প্রকার...
ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

ইসলামী প্রশ্নোত্তর: অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা ?

অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয আছে কিনা? প্রিয় পাঠক মহল , আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আমাদের নতুন এই সেবা । আজ থেকে আমরা আপনাদের জন্য ইসলামী প্রশ্নোত্তর নামের একটি ধারাবাহিক পোস্ট জারি রাখব । এই...
BPO Services in Bangladesh

Supercharge Your Business: Explore The Top 20 BPO Services in Bangladesh

1
Introduction: Bangladesh has emerged as one of the leading destinations for Business Process Outsourcing (BPO) services. The country boasts a vast pool of talented professionals who are skilled in various domains such as software development,...
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত

ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত

ইনসানিয়াত বিপ্লব,বাংলাদেশ নিবন্ধন উপলক্ষে হালিশহর থানার শোকরানা সালাতু সালাম মাহফিল অনুষ্ঠিত সত্য-সুবিচার-মানবতা-অধিকার ভিত্তিক সমাজ রাষ্ট্র ব্যবস্থা তথা ইনসানিয়াত বা মানবিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকারে, মিথ্যা-অবিচারের কবল থেকে সত্য এবং মানবতার মুক্তি সাধনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার...
বাংলা ২য় পত্র ভাষণ লিখন : শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং আমাদের করণীয়

বাংলা ২য় পত্র ভাষণ লিখন : শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং আমাদের করণীয়

0
বাংলা ২য় পত্র ভাষণ লিখন : শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং আমাদের করণীয় শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং আমাদের করণীয় বিষয়ে একটি ভাষণ তৈরি করো। শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং আমাদের করণীয় ‘শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি,...